ইংল্যান্ডকে ৬৪ রানে সহজেই হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পৌঁছালো বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
অধিনায়ক ফিঞ্চের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২৮৫ পর্যন্ত যায় অস্ট্রেলিয়া। বেরেনডর্ফের পাঁচ ও স্টার্কের চার উইকেটে ৩২ বল বাকি থাকতে ২২১ রনে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
স্বাগতিকদের ফিল্ডিং ছিল বাজে। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে দিয়েছে বেশ কিছু বাড়তি রান। হাত থেকে ছুটেছে ক্যাচ, স্টাম্পিংয়ের সুযোগ। অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার নিতে পারেনি তার সুবিধা। রানের গতিতে দম দেওয়ার কাজটা করতে পারেননি কেউ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এবারের আসরে নিজেদের তৃতীয় শতরানের জুটিতে অস্ট্রেলিয়াকে ভালো শুরু এনে দেন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সাবধানী শুরু করা দুই ওপেনার ধীরে ধীরে বাড়ান রানের গতি। ২৩তম ওভারে ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে ১২৩ রানের জুটি ভাঙেন মইন আলি। বাঁহাতি ওপেনার ৬১ বলে ৬ চারে ফিরেন ৫৩ রান করে।
জস বাটলারের ব্যর্থতায় শুরুতেই স্টাম্পড হওয়ার হাত থেকে বেঁচে যান উসমান খাওয়াজা। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ফিরেন অধিনায়কের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে।
৬১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া ফিঞ্চ আসরে নিজের দ্বিতীয় ও ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চদশ সেঞ্চুরি তুলে নেন ১১৫ বলে। পরের বলেই জফরা আর্চারের শর্ট বলে হুক করার চেষ্টায় ধরা পড়েন ফাইন লেগে। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের ১১৬ বলের ইনিংস গড়া ১১ চার ও দুই ছক্কায়।
ভালো শুরুটা কাজে লাগাতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার পরের ব্যাটসম্যানরা। একটি করে ছক্কা-চার হাঁকিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রান আউট হয়ে ফিরেন মার্কাস স্টয়নিস। দ্রুত উইকেট হারানো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের টানতে পারেননি স্টিভেন স্মিথ। পাঁচ চারে ৩৮ রান করে ফিরে যান যান সাবেক অধিনায়ক।
শেষের দিকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে ২৮৫ পর্যন্ত নিয়ে যান অ্যালেক্স কেয়ারি।
ন্যাথান কোল্টার-নাইলের জায়গায় দলে ফেরা বেরেনডর্ফ ও অভিজ্ঞ স্টার্কের ছোবলে রান তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে জেমস ভিন্সকে বোল্ড করেন বেরেনডর্ফ। পরে ফেরান আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে। এই দুই উইকেটের মাঝে স্টার্ক বিদায় করেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যাটিং ভরসা জো রুট ও ওয়েন মর্গ্যানকে।
৫৩ রানে প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে হারানো ইংল্যান্ডকে টানেন বেন স্টোকস। বাটলারের সঙ্গে ৭১ ও ক্রিস ওকসের সঙ্গে ৫৩ রানের দুটি জুটি গড়েন এই অলরাউন্ডার। লড়াকু ব্যাটিংয়ে ৮৯ রান করা স্টোকসকে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে বোল্ড করে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার মুঠোয় নিয়ে আসেন স্টার্ক। পরে আদিল রশিদকে ফিরিয়ে ইংলিশদের গুটিয়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
স্টার্ক এর দুই উইকেটের মাঝে দুই অলরাউন্ডার মইন ও ওকসকে ফিরিয়ে দেন বেরেনডর্ফ। নিজের দশম ওভারে আর্চারকে বিদায় করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো নেন পাঁচ উইকেট।
৪৪ রানে ৫ উইকেট নেন বেরেনডর্ফ। স্টার্ক ৪ উইকেট নেন ৪৩ রানে। অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে দারুণ সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন ফিঞ্চ।
ষষ্ঠ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে গেছে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ।