মার্কিন সরকার ইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় দেয়া ছাড় প্রত্যাহার করে নেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে রাশিয়া ও ফ্রান্স। ফোরদো পরমাণু স্থাপনায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে ইরান এবং ২০১৫ সালে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার ভিত্তিতে ওই স্থাপনার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রেখেছিল আমেরিকা।এর ফলে ফোরদো’তে রাশিয়া ও চীনসহ কয়েকটি ইউরোপীয় কোম্পানির কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়।
কিন্তু গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ঘোষণা করেন, ফোরদো’র ওপর নিষেধাজ্ঞায় প্রদত্ত ছাড় আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর আর নবায়ন করা হবে না।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে ওয়াশিংটনের এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ইরানের ফোরদো স্থাপনার ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে আমেরিকা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে শুধু নিজে এই আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করেনি বরং অন্যান্য দেশ যাতে এই চুক্তি মেনে চলতে না পারে সে দুরভিসন্ধিমূরক পদক্ষেপও নিয়েছে। রাশিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব পাস করে ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে আন্তর্জাতিক আইন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।রাশিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফেরদো স্থাপনায় তেহরানকে সহযোগিতা করে যাবে মস্কো।
ওদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রও এক বিবৃতিতে ফোরদোর ব্যাপারে মার্কিন পদেক্ষেপের নিন্দা জানান। তিনি দাবি করেন, পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়ন করে এটি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমন করতে চায় প্যারিস।
ইরান চলতি মাসের গোড়ার দিকে পরমাণু সমঝোতায় নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন স্থগিত রেখে ফোরদো পরমাণু স্থাপনায় আবার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে হেক্সাফ্লোরাইড গ্যাস ঢোকানোর কাজ শুরু করে। অবশ্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার পরিদর্শকদের উপস্থিতিতে আগে থেকে ঘোষণা দিয়ে এ কাজ করেছে তেহরান।-পার্স টুডে।