ডিএমপি নিউজঃ থানাসহ সবক্ষেত্রে জনসাধারণকে উত্তম ব্যবহার ও সেবা দিয়ে পুলিশকে আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। থানায় এসে যদি কেউ আইনী সেবা না পান, তাহলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানান। আমরা ব্যবস্থা নিব।
মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১ টায় রাজধানীর আফতাব নগর এলাকায় বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুমের উদ্বোধন শেষে এসব বলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন হাউজিং লিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ধীরাজ মালাকারসহ ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আফতাব নগরের মত একটি বিশাল বড় এলাকার নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানিয়ে কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা ইনষ্টলের ফলে এখানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আসবে। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গেলে ডিজিটাল নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। অপরাধ শূণ্য করতে হলে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ। গুলশান, বনানী, বারিধারায় সিসি ক্যামেরা বসানোর ফলে অপরাধ অনেকটায় শূণ্যের কোটায় এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আফতাব নগরে ১০০ টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুরো আফতাব নগর এলাকায় এখন থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কেউ অপরাধ করার সাহস পাবে না। করলেও পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। খুব সহজে পাকরাও করা যাবে। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে একটি টেকশই নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অত্র এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও শৃংখলা প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। জনসাধারণ তার জান মালের নিরাপত্তা নিয়ে চলাচল করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার করে যেকোন অপরাধে অতি দ্রুত সময়ে সহজে অপরাধীকে সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের মত আমরা ঢাকা শহরেও নগরবাসীর ডাটাবেজ সংগ্রহ করেছি। ইত্যোমধ্যে ৮০ লক্ষ নগরবাসীর তথ্য আমাদের ডাটাবেজে সংরক্ষিত রয়েছে। এখন অপরাধ করে কেউ পার পাবেনা। উন্নত ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে হলে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকসহ সকল অপরাধের বিরুদ্ধে দেশবাসীর ঐক্যবদ্ধতা দরকার। জনবহুল ঢাকা মহানগরীতে আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করা কঠিন।
এছাড়াও কমিশনার বলেন, কমিশনার বলেন, গুলশানে যে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে তা ছিল নজিরবিহীন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পুলিশ একের পর এক জঙ্গি আস্তানা ভেঙ্গে দিয়েছে। দেশে এখন আর জঙ্গি নেটওয়ার্ক নেই। তেমনি ভাবে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। ঢাকা শহরের কোথাও মাদকের আস্তানার সন্ধান পাওয়া গেলে তা ভেঙ্গে তচনচ করা হবে। কড়াইল বস্তি ও কারওয়ান বাজারের মতো মাদক আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মাদক কারবারির সাথে যেই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের সাথে যুক্ত থাকে, পৃষ্ঠপোষকতা করে, সহায়তা করে তাহলে তাদেরকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান সবসময় জিরো টলারেন্স।
ধীরাজ মালাকার তাঁর বক্তব্যে বলেন, আফতাব নগরের স্বপ্নদ্রষ্টা মরহুম জহিরুল ইসলাম সাহেবের স্বপ্ন ছিল একটি নিরাপদ আফতাব নগর বানানো। গুলশান বিভাগের পক্ষ থেকে আফতাব নগরের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের প্রস্তাব আসলে আমরা সানগ্রে প্রস্তাবটি গ্রহণ করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছি। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট রয়েছে। এজন্য পুলিশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে আফতাব নগরের প্রবেশ মূখে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিং রুমের উদ্বোধন ও পরিদর্শন করেন ডিএমপি কমিশনারসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।