কৃষি ঋণের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত বাংকগুলোর স্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের নিট ঋণ ও অগ্রিমের ২ শতাংশ হারে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষকদের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। বিগত বছরে ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বুধবার (২৫ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে শস্যখাতে, ন্যূনতম ১০ শতাংশ মৎস্য খাতে এবং প্রাণিসম্পদ খাতে ১০ শতাংশ বিতরণ করতে হবে। এছাড়াও কৃষি যন্ত্রপাতি, দারিদ্র্য বিমোচন ও অন্যান্য খাতে বাকি অর্থ বিতরণ করতে হবে।
ব্যাংকগুলোর নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক, বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ড ৯৬১ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ করবে। ব্র্যাক বিতরণ করবে ৬০০ কোটি টাকা।
লক্ষ্যমাত্রার ৫২ শতাংশ বিতরণ করবে বেসরকারিখাতের ব্যাংক, সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বিতরণ করবে ৩০ শতাংশ, বিশেষায়িত ব্যাংক বিতরণ করবে ১৫ শতাংশ ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ৩ শতাংশ ঋণ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক অশোক কুমার দে ও কৃষি ঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মনোজ কান্তি বৈরাগী বক্তব্য রাখেন।