ডিএমপি নিউজ : এন্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) এর একটি চৌকস দল ও রংপুর বিভাগীয় টিম যৌথ অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর কিশোরী শাহিনা হত্যা মামলার আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভূক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (১৮ মার্চ ২০২৩ খ্রি.) রাত ২৩.২০ টায় রংপুর জেলার সদর থানাধীন সিইও বাজার সংলগ্ন কেল্লাবন্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের নাম-মোঃ আলমগীর ওরফে আল-আমীন। তিনি রংপুরের গঙ্গাচড়া গ্রামের নরসিংহ মর্ণেয়া গ্রামের মো: হান্নানের ছেলে।
রংপুরে কিশোরীকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পৃথক মামলায় ২৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিজ্ঞ বিচারক রোকনুজ্জামান আসামী মো: আবুজার (২১), আব্দুল করিম (২২), নাজির হোসেন (২৫) আমিনুর রহমান (২২) ও আলমগীরকে (২০) আমৃত্যু কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় ৪ জন আসামী আদালতে উপস্থিত থোকলেও আসামী মো: আলমগীর ওরফে আল-আমিন পলাতক ছিলো।
আসামী মো: আবুজারের সাথে শাহিনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শাহিনা বিভিন্ন সময় বিয়ের কথা বললে আবুজার টালবাহানা শুর করে। শাহিনা প্রেমের সম্পর্কটি মো: আবুজারের বাবা-মাসহ গ্রামাবাসীকে জানিয়ে দেবে বলে হুমকি দিলে আবুজার শাহিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ২০১৫ সালের ১৪ মে শাহিনাকে বাড়িতে একা পেয়ে আবুজার কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এরপর আবুজার ও তার বন্ধুরা শাহীনাকে গণধর্ষণসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে ক্ষেতে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় শাহীনার বাবা আইয়ুব আলী গঙ্গাচড়া থানায় গত ১৫ মে ২০১৫ মামলা রুজু করেন।
গ্রেফতারকৃত মো: আলমগীর ০৮ বছর যাবত রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করে ছিলো এবং নিজের নাম গোপন রেখে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলো। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।