নীতিমালা লঙ্ঘন করে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে যারা অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, এসএসসির ফরম পূরণে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমেও খবর প্রকাশিত হয়েছে। আজ (১৯ নভেম্বর, ২০১৮) সচিবালয়ে একটি শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধের আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যারা অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন তাদের এ টাকা ফেরত দিতে হবে। এর সাথে জড়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এদিকে এসএসসি, এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা ২০১৯ এর ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অধীনন্থ অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চিঠিতে পরীক্ষার ফরম পূরণে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে যাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা হয় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোকে। গত ৭ নভেম্বর এসএসসি ২০১৯ পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়েছে।
গত ৮ নভেম্বর ফরম পূরণে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে বলা হয়, ‘আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি), এসএসসি(ভোকেশনাল), দাখিল এবং দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা-২০১৯ এর ফরম পূরণে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ শিক্ষক সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত ফি আদায় করছে মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের অভিযোগ কেন্দ্রে (১০৬-এ) এবং ই-মেইলে প্রতিদিন প্রচুর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ অনিয়মের বিরুদ্ধে সম্প্রতি কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে অনুসন্ধান করে এর সত্যতা পেয়েছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থের বিনিময়ে দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদেরও ফরম পূরণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া হচ্ছে। এ অপতৎপরতা সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট করছে যা সরকারি নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, দপ্তর এবং মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যথাযথ হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অবিলম্বে নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক বলে কমিশন মনে করে।’