যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে শুক্রবার মধ্যরাতে দেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ কক্ষপথে যাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্পেস সোসাইটিতে প্রবেশের ঐতিহাসিক মুহূর্তের সূচনা হয়।
জাতির স্বপ্নের ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট যথাযথভাবে সফল উৎক্ষেপণের পর এখন কক্ষপথ অভিমুখে যাচ্ছে। মার্কিন কোম্পানি স্পেসএক্স-এর সর্বাধুনিক রকেট ফ্যালকন-৯ স্থানীয় সময় বেলা ৪টা ১৪ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানাভেরাল উৎক্ষেপণ মঞ্চ থেকে স্যাটেলাইট নিয়ে কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রীর আইটিসি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন। ফ্লোরিডার স্বচ্ছ আকাশে প্রায় সাত মিনিট স্যাটেলাইটটি দেখা যায়।
বাসস সূত্রে জানা যায়, স্যাটেলাইটটি যখন মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন দেশজুড়ে সকল বয়সের মানুষ বিজয় চিহ্ন দেখায় এবং ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে উঠে।
জাতীয় পতাকা ও লোগোসহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিয়ে রকেটটি যখন মহাকাশের দিকে যাত্রা শুরু করে, তখন দেশব্যাপী ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানও ধ্বনিত হয়। বাংলাদেশকে বিশ্বের আরেকটি গৌরবময় বিশাল সাফল্যের দৃষ্টান্ত তুলে ধরায় জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানান।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের যোগাযোগ সেক্টরে জাতির গর্বিত এই মাইলফলকের ক্ষণটি উপভোগ করেন।
রাষ্ট্রপতি এক বার্তায় বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য হওয়ার মাধ্যমে আজ থেকে বাংলাদেশ ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল যাত্রা শুরু করলো।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ উপগ্রহ সফলভাবে মহাকাশে পাঠানোর জন্য দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দেশের অব্যাহত অগ্রগতির পথে এটি একটি নতুন মাইলফলক যোগ করবে।’
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর দুটি গ্রাউন্ট স্টেশন গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় প্রাথমিক সংকেত সফলভাবে গ্রহণ করেছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রযুক্তিকেন্দ্রিক উত্তরণের দৃষ্টান্ত।