বিরাট কোহালি বনাম ঋষভ পন্থ। ফিরোজ শাহ কোটলায় শহরের দুই সেরা তারকার দ্বৈরথ দেখলো দিল্লি। কোহালি নিঃসন্দেহে দিল্লির ক্রিকেটের সব চেয়ে বড় গর্ব। তিনি এক নম্বর হলে অবশ্যই দু’নম্বরে এখন ঋষভ।
শনিবার কোটলায় সেই দুই সেরা মুখোমুখি হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত জিতলেন কোহালিই। পাঁচ উইকেটে জিতল তাঁর দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরও (আরসিবি)। এই জয়ে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ছিটকে দিয়ে প্লে–অফের দৌ়ড়ে টিকে থাকল তারা।
ব্যাট হাতে আইপিএলের ম্যাচে নামলেই ঝড় তুলছেন যিনি, শনিবারও সেই পন্থের ব্যাট ঝলসে ওঠে কোটলায়। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে কোহালিও বুঝিয়ে দেন, কেন তিনি বিশ্বের অন্যতম সেরা। আরসিবির বিরুদ্ধে পন্থ পাঁচটি চার ও চারটি ছয় মেরে ৩৪ বলে ৬১ রান করে যাওয়ার পরে সেই মঞ্চ মাতিয়ে দেন কোহালিও। ৪০ বলে ৭০ রান এল তাঁর ব্যাটেও। তিনটি ছয় ও সাতটি চার–সহ।
প্রথমে ব্যাট করে দিল্লি তোলে ১৮১ রান। কোহালিরা তা তুলে ফেলেন এক ওভার বাকি থাকতেই। শনিবার কোহালি পাশে পেয়ে যান এবি ডিভিলিয়ার্সকেও। আরসিবি অধিনায়ক আউট হয়ে যাওয়ার পরে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন ডিভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান যে দিন মেজাজে থাকেন, সে দিন তাঁর কাছে কোনও রানই বড় নয়। দিল্লির বিরুদ্ধে ৩৭ বলে ৭২ করে অপরাজিত থাকলেন। মারলেন চারটি চার, ছ’টি ছয়। ম্যাচের সেরাও ডিভিলিয়ার্স।
কোহালি নিজেও চলতি আইপিএলে ছন্দে আছেন। ১১টি ম্যাচে ৪৬৬ রান। স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৪০। পরিসংখ্যানে পন্থ তাঁকে পিছনে ফেলে দিলেও তাঁর দল কিন্তু পিছিয়েই গেল। কোহালিরা প্লে–অফের লড়াইয়ে টিকে থাকলেও দিল্লি সেই দৌড় থেকে ছিটকেই গেল।
ঘরের মাঠে পন্থ পেয়ে গিয়েছিলেন এক সঙ্গী। জীবনের প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নেমে যে ব্যাটসম্যান ১৯ বলে ৪৬ রান করে গেল ২৪২ স্ট্রাইক রেট নিয়ে। অমৃতসরের ১৭ বছর বয়সি অভিষেক শর্মাও বাঁ হাতি। দুই বাঁহাতির দাপটে দিল্লি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল আরসিবি–র দিকে। এবি–কে সঙ্গে নিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ শেষ পর্যন্ত জিতেই নিলেন কোহালি।