ডিএমপি নিউজঃ সুখ কবিতায় কবি কামিনী রায় বলেছেন সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে। কবিতার মতই ছিল কবির জীবন।
প্রথিতযশা বাঙালি এই মহিলা কবি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্নাতক ডিগ্রীধারী প্রথম মহিলা ব্যক্তিত্ব। তিনি “জনৈক বঙ্গমহিলা” ছদ্মনামে একসময় তার লেখা প্রকাশ করতেন।
তার জন্ম ১৮৬৪ সালের ১২ অক্টোবর বরিশালের বাকেরগঞ্জের বাসণ্ডা গ্রামে। বেথুন কলেজ হতে তিনি ১৮৮৬ খ্রীস্টাব্দে ভারতের প্রথম নারী হিসাবে সংস্কৃত ভাষায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
মাত্র পনের বছর বয়সে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘আলো ও ছায়া’ প্রকাশিত হয়। তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- নির্মাল্য, পৌরাণিকী, মাল্য ও নির্মাল্য।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২৯ সালে তাকে ‘জগত্তারিণী স্বর্ণপদক’ প্রদান করে সম্মানিত করেন। তিনি ১৯৩০ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় লিটারারি কনফারেন্সের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৩২-৩৩ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদেরও সহ-সভাপতি ছিলেন কামিনী রায়। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া