কম্পিউটার ব্যাবহারকারীর মধ্যে আমরা অনেকেই জানি উইন্ডোজ সেট-আপ দিলে শুধু সিস্টেম ড্রাইভ অর্থাৎ যে ড্রাইভে অপারেটিং সিস্টেম ইন্সটল করা আছে, সেটি ফরম্যাট হয়। অন্য ড্রাইভগুলো অপরিবর্তিত থাকে। ফলে সিস্টেম ড্রাইভে যদি ভাইরাস থাকে, তা ডিলিট হয়ে যায়। কিন্তু অন্য ড্রাইভের ভাইরাসগুলো আগের মতোই পিসিতে সংসার বেঁধে বসে থাকে। তার ওপর অনেক ভাইরাস এতই মারাত্মক হয় যে, তার জন্য এন্টিভাইরাসই ইন্সটল করা যায় না, তাহলে পিসির এসব ভাইরাস পিসিতেই থাকবে।
তাহলে কী পিসি ফরম্যাট করা ছাড়া কোনো উপায় নেই? অবশ্যই আছে। সাধারণত যে সকল ভাইরাস আপনার পিসিতে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করতে দেয় না বা আপনার এন্টিভাইরাস দিয়েও যায়না তার কারণ, তারা আপনার পিসিতে সক্রিয় আছে বলেই তারা আপনাকে এন্টিভাইরাস ইন্সটল করা থেকে বিরত রাখতে পারে আর আপনার এন্টিভাইরাস এর ক্ষমতাকেও হারাতে পারে। সুতরাং এমন কিছু করতে হবে যেন, ভাইরাসগুলো সক্রিয় না থাকে।
পিসিতে ভাইরাস তখনই সক্রিয় হয়, যখন আপনি আপনার পিসির ড্রাইভগুলো ওপেন করেন। ধরুন, আপনার পিসিতে সিস্টেম ড্রাইভ ছাড়া অন্য ড্রাইভে ভাইরাস আছে। এখন আপনি যদি ওইন্ডোজ সেটাপ দিয়ে আবার আপনার ড্রাইভগুলো ওপেন করেন, তাহলে ভাইরাসগুলো আবার সক্রিয় হবে।
ভাইরাস দূর করার উপায়-
১. প্রথমেই আপনি উইন্ডোস সেট-আপ দিন।
২. এখুনি মাদারবোর্ডের সিডির সফটওয়্যারগুলো (সাউন্ড, ল্যান, চিপসেট, ভিডিও) ইন্সটল করবেন না।
৩. ওইন্ডোজ সেটাপের পরে প্রথম যখন কম্পিউটারটি অন করবেন তখন, ‘MY Computer’ এ বা এর কোনো ড্রাইভেও যাবেন না। ফলে আপনার পিসির ভাইরাসগুলো সক্রিয় হবে না।
৪. এখন এন্টিভাইরাসের সিডি অথবা পেনড্রাইভ থেকে এন্টিভাইরাস সফ্টওয়্যারটি ইন্সটল করুন। পেনড্রাইভ কম্পিউটারে প্রবেশ করানোর সময় shift প্রেস করে রাখুন যেন তা নিজ থেকেই ওপেন না হয়। ৫. এখন ‘MY Computer’ থেকে প্রত্যেকটি ড্রাইভ থেকে স্ক্যান করলেই ভাইরাসগুলো মুক্ত হয়ে যাবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যে, স্ক্যান করার আগে যেন কোন ড্রাইভ ওপেন না হয়। এতে অন্যড্রাইভের ভাইরাসগুলো সক্রিয় হয়ে যেতে পারে।