ডিএমপি নিউজ: কলকাতার স্ট্র্যান্ডরোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত নয় জন মারা গেছে। তার মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে লিফটে। লিফটের ভিতর আগুনে ঝলসে গিয়েছে তাদের শরীর। খবর:ডয়েচে ভেলে
সোমবার (৮ মার্চ) মাঝরাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। রাত ১১টায় ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
কলকাতার অন্যতম পুরনো রাস্তা স্ট্র্যান্ড রোড। গঙ্গার ধারের এই রাস্তার উপরে একাধিক রেলের ভবন আছে। নিউ কয়লাঘাটায় তেমনই একটি রেলের বহুতলে সোমবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। ১৩তলায় আগুন লাগে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একাধিক গাড়ি। দমকলকর্মীরা উপরে উঠে পড়েন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশও। রাতের দিকে মর্মান্তিক খবর পাওয়া যায়। ১২তলায় লিফটের ভিতর থেকে পাঁচজনের দেহ উদ্ধার হয়। দমকল সূত্র জানিয়েছে, দমকলকর্মীরা লিফটে করে উপরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন, তখনই ঘটে এই বিপত্তি।। এ ছাড়া দুই রেলকর্মী এবং পুলিশেরও মৃত্যু হয়েছে আগুনে।
আগুন লাগার পরে কেন লিফটে করে ওই ব্যক্তিরা উপরে ওঠার চেষ্টা করছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। লিফটের ভিতর তাদের শরীর ঝলসে যায়। ঘটনার পরেই রেলমন্ত্রী পীয়ূষ গোয়েল টুইট করে সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের সঙ্গে রেল সবরকম সহযোগিতা করছে। আগুন নেভানোর কাজে রেলও সাহায্য করছে।
রাত ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, রেল ওই ভবনের ম্যাপ দিতে পারেনি। ফলে আগুন নেভাতে অসুবিধা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, সিঁড়ি খুঁজে না পেয়েই কি লিফটে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তিরা? ভবনের ম্যাপ যে পাওয়া যায়নি, তা স্বীকার করেছেন রেলমন্ত্রীও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও মৃত ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। রাজ্য সরকার মৃতদের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক ভাবে দমকলের ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।