ডায়েটে থাকা মানেই কয়েক দিনের কঠোর নিয়ম। সকালে ওটস, দুপুরে স্যালাড, রাতে ইয়োগার্ট। কিছু দিন পর থেকেই আবার যে কে সেই। এই ভাবে কঠোর নিয়ম মেনে ওজন কমানোর চেষ্টা যেমন অকার্যকর, তেমনই অবৈজ্ঞানিক। জাঙ্ক ফুড দেখলে চোখের খি্দে নিয়ন্ত্রণ করে, পরিমিত খেয়ে থাকাই আদর্শ ডায়েট বলে থাকেন নিউট্রিশনিস্টরা। কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন চোখের খিদে? জেনে নিন কিছু উপায়।
পজ: যখনই জাঙ্ক ফুড খেতে ইচ্ছা হবে, খাবারের দিকে হাত বাড়াতে যাবেন মনে মনে ভাবুন পজ বাটন। এ ভাবে কয়েক বার করতে থাকলে দেখবেন মনকে তৈরি করে ফেলেছেন।
একই রকম দেখতে: অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার ও জাঙ্ক ফুড দেখতে এক রকম। যদি জাঙ্ক ফুড খেতে ইচ্ছা হয় তা হলে একই রকম দেখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজ খেতে ইচ্ছা হলে খেতে পারেন লম্বা, পাতলা স্লাইসড গাজর। আইসক্রিমের স্বাদ মেটাতে পারেন ঠান্ডা ফ্রুট স্মুদি দিয়ে।
কল্পনা: যখনই কোনও বিশেষ খাবার খেতে ইচ্ছা হবে, কল্পনা করুন আপনি সেই খাবারটা খাচ্ছেন ও উপভোগ করছেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে খাওয়ার আগে কল্পনা করলে আসল খাওয়ার সময় কম পরিমাণেই পেট ভরে যায়।
প্রিয় খাবার: নিজেকে প্রিয় খাবার থেকে বঞ্চিত করবেন না। ডায়েটে থাকা মানেই আমরা মনে করি প্রিয় খাবার খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। এতে আরও বেশি খাই খাই বাড়ে। স্বাস্থ্যকর ডায়েটের মূলমন্ত্রই হল পরিমিত খাওয়া। নিজেকে বঞ্চিত না করে সব কিছুই খান। তবে পরিমাণ বুঝে।
অ্যাপল ট্রিক: খিদে পেলে নিজেকে প্রশ্ন করুন আপেল খেতে ইচ্ছা হচ্ছে কিনা। যদি ইচ্ছা হয় তা হলে আপেল খান। যদি খেতে ইচ্ছা না হয় এক গ্লাস জল খেয়ে নিন। অনেক সময়ই জল খেলে খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়।
নিয়ম ভাঙার সময়: প্রতি দিনের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম ভাঙার সময় ঠিক করুন। সেই সময়টা আপনি পছন্দের খাবার খেতে পারেন। যদি বেশি খেতে ইচ্ছা হয় তা হলে মনকে বোঝান পর দিন আবার এই সময় খাবেন। তা হলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
ব্যস্ত: খাই খাই মাথায় চেপে বসতে দেবেন না। খেতে ইচ্ছা হলেই কী করবেন তার একটা তালিকা তৈরি করে রাখুন। যখনই মন খাই খাই করবে তখনই সেই সব কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।