এ ব্যাপারে ডাক্তাররা বলছেন, মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়া কলেরা ও ডিপথেরিয়া এবং অপুষ্টির মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের। হাসপাতালগুলোতে দ্রুতই ফুরিয়ে যাচ্ছে জীবনরক্ষাকারী ওষুধ।
এদিকে, জরুরি সহায়তা না পেলে ইয়েমেনে এক কোটি ৭০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মধ্যে পড়তে পারে বলে সম্প্রতি এক সতর্ক বার্তায় জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইয়েমেনের ২ কোটি ৫৬ লাখ মানুষের মধ্যে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন। প্রায় ৭০ লাখ মানুষ ‘মারাত্মকভাবে খাদ্য অনিরাপত্তায়’ ভুগছে, অর্থাৎ তাদের জন্য দ্রুত খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া প্রচণ্ড রকমের পুষ্টিহীনতায় ভুগছে ২২ লাখ শিশু।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ডব্লিউএফপি সতর্ক করে বলেছে, দুই বছরের গৃহযুদ্ধের পর সেই দেশটি এখন দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছর ইয়েমেনের জনগণের জন্য তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্যে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সম্মেলনে দাতা দেশগুলো ১.১ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেয়।