চলতি বছর গরমে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখেছে ইউরোপ। দাবানলে পুড়েছে বহু এলাকা, সঙ্গে ছিল খরা। ইউরোপে চলতি বছরের এখন পর্যন্ত তাপপ্রবাহের জেরে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চলতি বছরের জুন থেকে অগাস্ট—এই তিন মাস ইউরোপে সবচেয়ে উষ্ণ সময় ছিল। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে মহাদেশ জুড়ে ভয়াবহ খরা-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
ইউরোপে ‘হু’-র আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগ এক বিবৃতিতে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্পেন ও জার্মানি। এ পর্যন্ত পাওয়া বিভিন্ন দেশের তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে গরম আবহাওয়ার কারণে অন্তত ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটেছে।
হান্স ক্লুগ বলছেন, ইউরোপের জার্মানিতে ৪৫০০, স্পেনে ৪০০০, পর্তুগালে ১০০০ এবং ব্রিটেনে ৩২০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবারের এই তাপপ্রবাহে। জুন থেকে আগস্ট— এই তিন মাসে মৃত্যু হয়েছে সব চেয়ে বেশি। এ বছরের জুন-জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির বেশি ছিল। প্রথমবার এ দেশে এত গরম পড়ল!
এদিকে, মিশরে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনকে উল্লেখ করে জলবায়ু পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ করার আহ্বানও জানিয়েছে হু। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। এমনকি বিশ্ব উষ্ণায়ন ভয়াবহ আকার নেবে বলে ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস বিজ্ঞানীদের। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গোটা বিশ্বেই উষ্ণায়ন তীব্র হচ্ছে।
আবহাওয়ার পরিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনে মানুষের মৃত্যু ঘটছে। ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নানা সভাসমিতি, সেমিনার-ওয়েবিনার, আলোচনা-সমালোচনা ইত্যাদি পুরোদমে চললেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।