আমেরিকায় নির্বাসিত তুরস্কের কথিত ধর্মীয় নেতা ফতেহউল্লাহ গুলেনকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মার্কিন সরকারের কাছে আবারো দাবি জানিয়েছে তুর্কি সরকার। এছাড়া, গুলেন আন্দোলনের আরো ৮৩ জনকে ফেরত চায় আংকারা।
আমেরিকা সফরের সময় গুলেনকে ফেরত পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসওগ্লু। তুর্কি সরকার অভিযোগ করে আসছে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছিল তার মূল পরিকল্পনাকারী হচ্ছেন ফতেহউল্লাহ গুলেন। এজন্য শুরু থেকেই তুরস্ক গুলেনকে আংকারার কাছে হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু এ পর্যন্ত তুরস্কের দাবি আমলে নেয় নি আমেরিকা।
চাভুসওগ্লু গতকাল (মঙ্গলবার) জানিয়েছেন, গুলেনকে ফেরত দেয়ার বিষয়ে তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনে সঙ্গে বৈঠক করেন কিন্তু তাদের কেউ এ বিষয়ে কোনো আশ্বাস দেন নি।
এর আগে, গত শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফতেহউল্লাহ গুলেনকে তুরস্কে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে কোনো কোনো গণমাধ্যম খবর দিয়েছে, গুলেনকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে চিন্তা করছে আমেরিকা। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে মার্কিন সরকার সৌদি আরবের ওপর থেকে তুর্কি সরকারের চাপ কমাতে চায়। সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে তুরস্ক।খবর পার্স টুডে।