আমাদের শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথার কারণ একদিকে ভুল ভঙ্গিমা আর অন্যদিকে বাড়তি ওজন ও সঠিক পুষ্টিকর খাবারের অভাব। কিছু জন্মগত ও গঠনগত ত্রুটি এবং নার্ভের সমস্যার ফলে ঘাড়, পিঠ, কোমর-সহ বিভিন্ন জায়গায় ব্যথার ঝুঁকি থাকে।
ঘাড়, পিঠ বা কোমরের ব্যথার মূলে আছে শরীরচর্চার অভাব আর বেঁকেচুরে সোফায় বসে এক নাগাড়ে টিভি দেখা, ঘাড় গুঁজে মোবাইল বা ল্যাপটপে গেম খেলা বা কাজ করা। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মনিটর সঠিক দূরত্বে এবং নির্দিষ্ট উচ্চতায় না থাকলে ঘাড়, কাঁধ আর পিঠের ব্যথার ঝুঁকি খুব বেশি। তার সঙ্গে সামনে ঝুঁকে ভারী জিনিস তোলার মতো ভুল ভঙ্গিমার কাজকর্মও ব্যথা বাড়ায়।
যা মানতে হবে
•এখন থেকেই যদি সচেতন হয়ে নিয়ম করে সকালে সন্ধ্যায় হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
•কয়েকটি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন, সর্বোপরি মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশিকে সচল রাখতে নিয়ম করে কিছু যোগাসন করতেই হবে।
•যাঁদের ঘাড়ে, কোমরে, হাঁটুতে বা পিঠে খুব ব্যথা, তাঁরা একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপি ও আসন করা শুরু করুন।
•দরকার হলে হাঁটার সময় হাঁটুতে নি-ক্যাপ, কোমরে বেল্ট বা ঘাড়ে কলার পরতে পারেন। তবে রাস্তায় হাঁটাচলার সময় পরলেও রাত দিন এইসব কলার বা বেল্ট পরে থাকলে পেশি ক্রমশ অলস হয়ে পড়ে। ফলে ব্যথার প্রকোপ বাড়তে পারে।
•পেটের পেশি বা অ্যাবডোমিনাল মাসল দুর্বল হয়ে গেলে পিঠের ব্যথার কষ্ট বেড়ে যায়। তাই নিয়ম করে পেটের ব্যায়াম করতে হবে।
পেটের পেশি মজবুত করলে পিঠের ব্যথার কষ্ট পেতে হবে না। কোমরের ব্যথা ও হাঁটুর ব্যথায় যেটুকু সহ্য হয়, সেটুকুই হাঁটুন। সমান জায়গায় হাঁটা-চলা করা যেতে পারে। বেশি বয়সে অস্টিওপোরোসিসের কারণে ব্যথা হলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করা উচিত নয়। ব্যথা হলে নিজে থেকেই ব্যথার ওষুধ কিনে খেলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।