ডিএমপি নিউজ রিপোর্ট: ৫ এপ্রিল, ২০১৭ বুধবার রাজধানীর চাঞ্চল্যকর রোকসানা হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত সাইদুজ্জামান বাচ্চুর ফাঁসির রায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।
লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছিল রাজধানীর হাতিরপুলে। ২০১২ সালের পহেলা জুন, একটি মেয়েকে নিয়ে হাতিরপুলের নাহার প্লাজার ১৩ তলাস্থ হোটেল কক্ষে ওঠে সাইদুজ্জামান বাচ্চু। তদন্তকারী কর্মকর্তার সূত্রে জানা যায়, ঘাতক সাইদুজ্জামান রুমে নিয়ে গিয়ে প্রথমে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে এবং পরে গলাটিপে হত্যা করে। মেয়েটিকে হত্যার পর মাংসগুলো কেটে বাথরুমে ফ্লাশ করে দেয়। হাড়গুলো বাইরে পার্শ্ববর্তী ৫ তলা বিল্ডিং এর পরিত্যক্ত ছাদে ফেলে দেয়। সেই ছাদে উঠার ছিল না কোন সিঁড়ি।
কিন্তু বিধিবাম! ঐ ছাদ থেকে হাতের কব্জির একটি অংশ কাক নিয়ে পাশের একটি গলিতে ফেলে দেয়। পথচারীরা হাতের কব্জি দেখে সংবাদ দেয় পুলিশকে । পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আংগুলে নেইল পলিশ দেখে মেয়ে মানুষের শরীরের অংশ বিশেষ মনে করে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করে। তল্লাশীর এক পর্যায়ে দুইজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, একটি ছেলে সন্ধ্যায় একটি মেয়েকে নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেছিল। ছেলেটিকে হোটেল কক্ষ থেকে বের হতে দেখলেও মেয়েটিকে আর দেখা যায়নি।
সেই সূত্র ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (দক্ষিণ) বিভাগের তৎকালীন এসআই দীপক কুমার দাস বর্তমানে একই বিভাগের ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে গ্রেফতার করা হয় ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার সাইদুজ্জামান বাচ্চুকে। এক পর্যায়ে উদঘাটিত হয় হত্যার রহস্য। সাইদুজ্জামান ছিল সোনালী ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস এর মালিক। পরবর্তী সময়ে সে বিজ্ঞ আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত সাইদুজ্জামানকে ফাঁসির রায় প্রদান করেন।
ভিকটিম রোকসানা আক্তার রুমি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিল। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার আলফাডাংগা উপজেলায়।