নৃত্যের ছন্দে, পুতুলের নাচে, অ্যাক্রোবেটিক শোসহ বহুমাত্রিক উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতায় চীনের সিচুয়ান প্রদেশের একঝাঁক শিল্পী। গতকাল শনিবার শিল্পকলা একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে শিল্পীদের পরিবেশনা মুগ্ধ করলো বাংলাদেশের দর্শকদের। চীনা নববর্ষ উপলক্ষে মনোমুগ্ধকর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ-চায়না কালচারাল ইকোনোমিক সেন্টার (বিসিসিইসি) এবং সিচুয়ান প্রাদেশিক সরকারের পররাষ্ট্র ও বহির্বিশ্ব বিষয়ক অধিদপ্তর। সহযোগিতায় ছিল চীনা দূতাবাস ও সিচুয়ান প্রাদেশিক সরকার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিং কিয়াং। এছাড়া বক্তব্য রাখেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সিচুয়ান সাংস্কৃতিক দলের দলপ্রধান শেন চাও ও বিসিসিইসির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মৃধা।
রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা উভয় রাষ্ট্র একে অপরের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে কাজ করছি। চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, তারা কখনও অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুরু হয় ‘হ্যাপিনেস’ নামের নাচ দিয়ে। এরপর ছিল ‘দ্য স্ট্রেন্থ’। এরপর ছিল হাতের ছায়ার খেলায় গড়া পরিবেশনা ‘ম্যাজিক্যাল ওয়ার্ল্ড’। আঙুলের ছায়ার খেলা শেষে উপস্থাপিত হয় আরেকটি ভিন্ন আঙ্গিকের সম্মেলক নাচ। হাতে চীনের ঐতিহ্যবাহী ড্রাম নিয়ে চক্রাকারে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এরপর এক কিশোরীর সঙ্গে দুই পান্ডার দুষ্টুমি হাস্যরসের সৃষ্টি করে মিলনায়তনে।
পরিবেশনার শেষে ছোট্ট পান্ডার স্মারক পেয়ে যান অনেক দর্শকই। এরপর নানা আঙ্গিকে পুতুলের নৃত্য মন জয় করে নেয় দর্শকদের। ছিল ফুলের আঙ্গিকে সমবেত নৃত্য। যা শেষ হতেই মঞ্চে চার তরুণীর অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশনায় ছিল শারীরিক নানা কসরত। সিচুয়ান অপেরা স্টান্ট পরিবেশিত ‘ফেস-চেঞ্জিং’ নামের পরিবেশনাটি ছিল দর্শকদের জন্য ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা।
নাচের তালে তালে চার শিল্পীর মুখগুলো বদলে যায় বারবার। মুখোশ পরিহিত শিল্পীরা নাচতে নাচতে নেমে আসে দর্শকদের কাছে। কারো সাথে আবার ঘটে তাদের করমর্দন। সিচুয়ানের ঐতিহ্যবাহী নাট্য আঙ্গিকের নৃত্য পরিবেশনা দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।