জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনে আরবিতে বক্তব্য দিলেন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন নেইসল।
নিজের ভাষণে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি আরবিতে আপনাদের সামনে কথা বলতে পারি! কেন আমি সেটা করবো? কারণ, আরবি হলো জাতিসংঘের ৬টি আনুষ্ঠানিক ভাষার একটি। আমি ভিয়েনায় আরবি শিখেছি। এটি একটি সুন্দর ভাষা।
প্রাচীন আরব সভ্যতার অংশ। যুদ্ধের বছরগুলোতে আমি লেবাননে পড়াশুনা করেছি। সেখানে দেখেছি যে কিভাবে মানুষ সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও জীবন যাপন করে চলছে। এটাই হয়তো জীবনের রহস্য।’
নিজের সূচনা বক্তব্যের প্রথম তিন মিনিট তিনি আরবিতে কথা বলেন। এরপর ফরাসি, স্প্যানিশ ও সবশেষে ইংরেজিতে কথা বলেন। নিজের বক্তব্যে নেইসল যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর শরণার্থীদের মর্মস্তুদ পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। তিনি উপস্থিত সকলকে নিজ নিজ রাজনৈতিক দলকে মঙ্গলের জন্য ব্যবহার করার অনুরোধ জানান।
তবে শরণার্থী নিয়ে নেইসলের এই আবেগঘন বক্তব্য বিস্ময়কর আরেকটি কারণেও। অস্ট্রিয়ারই নতুন জোট সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কার্জ। এতে রয়েছে উগ্র-দক্ষিনপন্থী দল ফ্রিডম পার্টি। এই দলটির রাজনৈতিক ভিত্তিই হলো অভিবাসন ও শরনার্থী বিরোধীতা। নেইসল নিজে অবশ্য স্বতন্ত্র পার্লামেন্ট সদস্য। কিন্তু তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে ফ্রিডম পার্টি! অভিবাসীদের নিয়ে তার অনেক বাগাড়ম্বর নিয়ে তীব্র সমালোচনা হয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিকভাবে তাকে রক্ষণশীল ভাবা হয়। এ কারণে তার মুখ থেকে শরণার্থীদের মর্মবেদনা শোনাটা বেশ বিস্ময়করই বটে।