জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার খসড়া কতিপয় সংশোধনী সাপেক্ষে আজ চূড়ান্ত করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার এর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালা চুড়ান্তকরণ বিষয়ে এক উচ্চ পর্যয়ের সভায় এ অনুমোদন প্রদান করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক হারুনুর রশীদসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ফেডারেশনের কর্মকর্ত।
নীতিমালায় বলা হয় , জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার নীতিমালার আওতায় খেলোয়াড় হিসেবে বাংলাদেশী নাগরিকরা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন। যে কোন দলগত খেলায় যিনি জাতীয় দলে কমপক্ষে ৫ বছর অথবা কমপক্ষে ১০টি আন্তর্জাতিক খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। এছাড়াও যে কোন ব্যক্তিগত ইভেন্টে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যিনি কমপক্ষে একটি স্বর্ণ পদক অথবা ২টি রৌপ্য পদক অথবা ৩টি ব্রোঞ্জ পদক বা সম–পর্যায়ের সম্মাননা বা পুরস্কার পেয়েছেন বা যিনি আঞ্চলিক পর্যায়ে ২টি স্বর্ণপদক অথবা জাতীয় পর্যায়ে ৩টি স্বর্ণপদক পেয়েছেন তিনিও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। কোন খেলোয়াড় সংশ্লিষ্ট খেলায় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে কমপক্ষে ৭ বার অংশগ্রহণ ও তাঁর অবদান যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।
সংগঠক হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনসমূহে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর কর্মকতা অথবা সদস্য হিসেবে জাতীয় অথবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। জাতীয় পর্যায়ে প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, রেফারি, জুরি, জাজ হিসেবে যিনি কমপক্ষে ১০ বছর বিশেষ অবদান রেখেছেন, তিনি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। এছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংগঠক, কর্মকর্তা, প্রশিক্ষক, আম্পায়ার, রেফারি, জুরি, জাজ হিসেবে বিশেষ অবদান অতিরিক্ত যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে। সরকার ক্রীড়াক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কোন সংস্থাকে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করতে পারবে।
পৃষ্ঠপোষক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতায় যে সমস্ত ব্যক্তিই প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫ বছর উল্লেখযোগ্য পরিমান সহায়তা দিয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করবেন বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয় ।
এ ছাড়াও প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ, ক্রীড়া সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা যাবে।