জাম খুব উপকারী ফল।পুষ্টিগুণে অতুলনীয় এ ফলটিতে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, স্যালিসাইলেট, গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফুকটোজসহ অসংখ্য উপাদান। পুুষ্টি বিশ্লেষণে জামে পাওয়া যায় পানি ৮৩.১৩ গ্রাম, আমিষ ০.৭২ গ্রাম, শর্করা ১৫.৫৬ গ্রাম, ফ্যাট ০.২৩ গ্রাম, আয়রন ০.১৯ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেশিয়াম ১৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৭৯ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ১৪ মিলিগ্রাম, থায়ামিন (ভিটামিন-বি১) ০.০০৬ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন (ভিটামিন-বি২) ০.১২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন (ভিটামিন-বি৩ ) ০.২৬০ মিলিগ্রাম, প্যানথোনিক অ্যাসিড (ভিটামিন-বি৫) ০.১৬০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি৬ ০.১৬০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ১৪.৩ মিলিগ্রাম।
ফলটি খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়, চর্মরোগ দূর হয়, পেটের অসুখ সেরে যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম খুব উপকারী। জামের বিচি রোদে শুকিয়ে গুঁড়া করে দৈনিক খেলে ডায়াবেটিস রোগে উপকার পাওয়া যায়। জাম ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস, মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তির প্রখরতা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এতে থাকা আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। যাদের অর্শরোগ আছে. তারাও জাম খেলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া জামের পাতা ও জামগাছের ছাল চূর্ণ নানা রোগের ওষুধ ও প্রতিষেধক। ঠা-াজনিত জ্বর, কাশি ও টনসিল ফুলে যাওয়া প্রতিরোধ, জ্বর জ্বর ভাব দূর এবং দাঁত, চুল ও ত্বক সুন্দর করে। জামের ভিটামিন ‘এ’ দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী করে। জামের ইলাজিক অ্যাসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস প্রতিরোধক। এ ছাড়া হৃৎপি-ের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। জামের কচিপাতা পেটের পীড়া নিরাময়ে সাহায্য করে। জামের বীজ থেকে প্রাপ্ত পাউডার বহুমূত্র রোগের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।