জিম্বাবুয়ে ও মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় ১৮২ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং এতে আরো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) উভয় দেশের সরকার হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জিম্বাবুয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকায় এ ঝড়ের আঘাতে ৯৮ জন নিহত হয়েছে। শুক্র ও শনিবার এ অঞ্চলজুড়ে ঘূর্ণিঝড়টি বয়ে যায়। অপরদিকে মোজাম্বিক জানায়, মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। মোজাম্বিকের পরিবেশ মন্ত্রী সেলসো কোরেয়া বিরা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘আমি মনে করি এটি হচ্ছে মোজাম্বিকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঘূর্ণিঝড়টি দেশটির সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। তিনি আশংকা প্রকাশ করেন যে, নিহতের সংখ্যা হয়তো হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
এ ঝড়ের আঘাতে জিম্বাবুয়ের পূর্বাঞ্চলীয় চিমানিমানি জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। আকস্মিক বন্যার কারণে সেখানে বহু ঘরবাড়ি ও সেতু ভেসে যায়। অধিক ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকাতে এখনও প্রবেশ করা যাচ্ছে না। প্রচন্ড বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। চিমানিমানির আইনপ্রণেতা জোসহোয়া সাকো টেলিফোনে এএফপিকে বলেন, এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত আমরা ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় এখনও ১৫০ থেকে ২শ’ জন লোক নিখোঁজ রয়েছে।