লিগ ওয়ানে দারুণ এক জয়ের আনন্দে বছর শেষ হলো পিএসজির। ২০১৭ সালে নিজেদের শেষ ম্যাচে কঁকে সহজেই হারিয়েছে উনাই এমেরির দল।
বুধবার রাতে টেবিলের দশম স্থানে থেকে খেলতে নামা দলটিকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে প্রথমার্ধে নিজেদের খুঁজে ফেরা পিএসজি। এদিনসন কাভানির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কিলিয়ান এমবাপে। দলের শেষ গোলটি ইউরির।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই গোল পেতে পারতো পিএসজি। হাভিয়ের পাস্তোরের বাড়ানো বল ধরে একা ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন কিলিয়ান এমবাপে। তাকে ঠেকাতে এগিয়ে আসা গোলরক্ষক পিছলে পড়ে যান; কিন্তু ফাঁকা জাল পেয়েও উড়িয়ে মারেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
২১তম মিনিটে এদিনসন কাভানির চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মাঝমাঠের কাছে এক জনকে কাটিয়ে আরেক জনকে ফাঁকি দিয়ে ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে বাঁয়ে বল বাড়ান এমবাপে। আর ছয় গজ বক্সের ঠিক বাইরে দারুণ নৈপুণ্যে ডান পায়ের পিছনের অংশের টোকায় গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকার।
দ্বিতীয়ার্ধের একাদশ মিনিটে এমবাপের ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে বুক দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন কাভানি।
পরের মিনিটেই বাঁ-দিক থেকে তরুণ আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোর বাড়ানো বল ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে লিগে ব্যক্তিগত অষ্টম গোলটি করেন এই দিনে ১৯ বছর পূর্ণ করা এমবাপে।
৬৩তম মিনিটে লো সেলসোর দুর্দান্ত এক চিপ শট দারুণ নৈপুণ্যে ঠেকান গোলরক্ষক। বল তার হাতে লেগে পোস্ট ঘেঁষে যায়। ছয় মিনিট পর নেইমারের শট গোলরক্ষকের আঙুল ছুঁয়ে লাগে পোস্টে।
৮১তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করেন ইউরি। নেইমারের পাস ধরে জোরালো শটে গোলটি করেন জুলাইয়ে দলে আসা স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সফল স্পট কিকে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন ইভান সান্তিনি। ডি-বক্সে চিয়াগো সিলভা হাত দিয়ে বল ঠেকালে পেনাল্টিটি পায় অতিথিরা।
১৯ ম্যাচে ১৬ জয় ও দুই ড্রয়ে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে বছর শেষ করলো শীর্ষে থাকা পিএসজি। এছাড়া ঘরের মাঠে রেনকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মোনাকো। আরেক ম্যাচে তুলুজের মাঠে একই ব্যবধানে জিতেছে লিওঁ।