উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। গুরুত্বপূর্ণ এই পদক্ষেপকে শান্তির বার্তা হিসেবে দেখছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম রোববার উত্তর কোরিয়ায় পা রেখেছেন। দুই কোরিয়ার মধ্যবর্তী অসামরিক এলাকায় (ডিএমজেড) সাক্ষাৎ করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে। বৈঠকে থমকে থাকা পরমাণু আলোচনা ফের শুরুও করতে রাজি হয়েছেন ট্রাম্প এবং কিম।
পিটার্স স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষের উদ্দেশে পোপ তার সাপ্তাহিক ভাষণে বলেন, ‘বিগত কয়েক ঘণ্টায় আমরা কোরিয়ায় মেলবন্ধনের এক চমৎকার উদাহরণ দেখলাম। এর হোতাদের আমি স্যালুট জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্রার্থনা করছি যেন এমন একটি গুরুত্বর্পর্ণ পদক্ষেপ শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যায়। কেবল কোরিয়া উপদ্বীপই নয় বরং গোটা বিশ্বের মঙ্গলের স্বার্থেই যেন তেমনটা ঘটে’।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন কিমের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে পোপকে উত্তর কোরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ভ্যাটিকানের কর্মকর্তারা বলছেন, শান্তির জন্য সহায়ক হলে শর্তসাপেক্ষে উত্তর কোরিয়া সফরে যেতে রাজি আছেন পোপ।
এ বছরই জাপান সফরের কথা রয়েছে পোপের। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন জানান, পোপ তাকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের কাছ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেলে তিনি অবশ্যই উত্তর দেবেন।