সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াইয়ে লিপ্ত দেশটির কথিত মধ্যপন্থি সন্ত্রাসীদের প্রতি সমর্থন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। গত কয়েক বছর ধরে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ এসব সন্ত্রাসীকে গোপনে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছিল।
গতকাল (বুধবার) ওয়াশিংটন পোস্ট দু জন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয় নি সিআইএ। হোয়াইট হাউজের ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্সও কোনো মন্তব্য করতে চান নি।
২০১৩ সাল থেকে ওবামা প্রশাসন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্য নিয়ে কথিত মধ্যপন্থি সন্ত্রাসীদেরকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়ার কর্মসূচি হাতে নেয়। এই ধ্বংসাত্মক তৎপরতায় যুক্ত করা হয় কুখ্যাত গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ-কে কিন্তু আজ পর্যন্ত সে পরিকল্পনা সফলতার মুখ দেখে নি বরং মধ্যপন্থি সন্ত্রাসীদেরকে দেয়া অস্ত্রের বেশিরভাগই চলে গেছে উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের হাতে। অনেকে অবশ্য এসব ঘটনাকে মার্কিন পরিকল্পনারই অংশ বলে মনে করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, সিরিয়ার সন্ত্রাসীদের প্রতি সিআইএ’র সমর্থন বন্ধের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা করছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাদের একজন বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বার্তা দিতে চায় যে, ওয়াশিংটন মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করতে আগ্রহী।
গত ৭ জুলাই ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে সিআইএ প্রধান মাইক পোম্পেও এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টারের বৈঠক হয় এবং সেখানে এ সিদ্ধান্ত হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জার্মানির হামবুর্গ শহরে জি-২০ সম্মেলনের অবকাশে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।