ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম যোগাযোগ পরিচালকের পদত্যাগের পর এসেছিলেন অ্যান্থনি স্কারামুচি। কিন্তু তাকেও ১০ দিনের মাথায় চাকরিচ্যুত করা হয়। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন ২৮ বছর বয়সী সাবেক মডেল হোপ হিক্স! কে এই নতুন যোগাযোগ পরিচালক?
গত পাঁচ বছর ধরে ট্রাম্পের সবচেয়ে কাছের মিত্র হিসেবে পরিচিত হোপ হিক্স বেতনও পেয়ে এসেছেন অনেক বেশি। প্রতিবছর এক লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বেতন নিয়ে ট্রাম্প টিমের সবচেয়ে বেশি বেতনধারী সদস্যদের একজন ছিলেন এই মডেল কন্যা।
কীভাবে ট্রাম্প পরিবারের কাছের জন্য হয়ে উঠলেন হোপ হিক্স সেটা নিয়ে বিবিসিতে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে উঠে এসেছে তার এই ঊর্ধ্বযাত্রার কাহিনী মডেলিং জীবনে ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কার বেশ কয়েকটি পণ্যের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন হিক্স। ইভাঙ্কার সঙ্গে কাজ করেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নজরে পড়েছিলেন হিক্স।
এরপর ২০১৪ এর অক্টোবরে ট্রাম্প নিজেই তাকে পিআর হিসেবে নিয়োগ দেন তার রিয়াল এস্টেট কোম্পানিতে। ২০১৫ সালের একটি রাজনৈতিক সফরে গেলে ট্রাম্প টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে যান হিক্স। সেই রাজনৈতিক সফরটিতেই ট্রাম্প তার প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলেন।হিক্স এতই বিশ্বস্থ হয়ে পড়েন যে ট্রাম্পের টুইটার অ্যাকাউন্টের দেখাশুনা করা থেকে শুরু করে সেখানে টুইট করার কাজও করতেন। ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে টুইটে প্রয়োজনীয় বার্তা শেয়ার করতেন।
যখন নির্বাচনী প্রচারণা সিরিয়াস হয়ে পড়েন হিক্স, তখন ট্রাম্প জানতে চান সে কি রিয়াল এস্টেটে কাজ করবে নাকি প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করবে। হিক্স পুরনো কাজে ফিরে যেতে চাইলেও ট্রাম্প তাকে প্রেস বিভাগে থাকার ব্যক্তিগত অনুরোধ করেন।পলিটিকো সাময়িকীতে এ বিষয়ে উঠে এসেছে হিক্স হচ্ছেন ট্রাম্প পরিবারের খুব কাছের জন। এত কাছের যে ইহুদী ধর্মানুসারী ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা ও মেয়ে জামাই জেরেড কুশনারের সঙ্গে শাব্বাত ডিনারগুলোতে অংশগ্রহণ করেন। গত মে মাসে পোপের সঙ্গে সাক্ষাতে ট্রাম্পের অল্প কয়েকজন সঙ্গীর মধ্যে ছিলেন হিক্স।
যোগাযোগ পরিচালকের পদ খালি হওয়ার পর সবাই অপেক্ষা করছিল কে পেতে পারেন সে দায়িত্ব। গত কয়েক মাসে ট্রাম্প টিমের মধ্যে উথাল-পাতালের মধ্যে বিশ্বস্থ হোপ হিক্সেই ভরসা পেলেন ট্রাম্প।
যদিও হিক্সকে অন্তর্বতীকালীন যোগাযোগ পরিচালক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তবে আশা করা যাচ্ছে পূর্বসুরীদের চেয়ে বেশি সময় স্থায়ী হবেন। আর গত পাঁচ বছরে ক্ষমতার মইয়ে চড়ে যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছেন, সে আরও উপরের দিকেই যাবে বলে আশা করছে ট্রাম্প টিম।