ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর ডেমরা থানার বামৈল বাশেঁরপুল এলাকায় হারুনর রশিদ হাওলাদার হত্যার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ডেমরা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- লিপি আক্তার (২০), রাজন হাওলাদার (২২) ও মাহাবুব খান (২৪)। বুধবার (২ ডিসেম্বর,২০২০) সকাল সাতটায় শরীয়পুর জেলার ডামুড্যা এলাকা হতে লিপি ও রাজনকে এবং দুপুর ২ টায় ডেমরা থানা এলাকা হতে মাহাবুবকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য, ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ টায় ডেমরা থানার বামৈল বাশেঁরপুল মধ্যবর্তী ডিএন্ডডি খালে একটি খয়েরী রংয়ের ট্রলি ব্যাগ পাওয়া যায়। ট্রলি ব্যাগের মধ্যে থেকে হারুনর রশিদ হাওলাদার (৪৫) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ বিষয়ে ভিকটিমের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৬ নভেম্বর ডেমরা থানায় মামলা রুজু হয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ সিদ্দিকুর রহমান ডিএমপি নিউজকে জানান, নিহত হারুনর রশিদ হাওলাদার পেশায় একজন মাইক্রো গাড়ীর ড্রাইভার। ২৩ নভেম্বর ভিকটিম তার জুরাইনের বাসা থেকে রাত অনুমান ০৯ টায় বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরবর্তীতে ২৪ নভেম্বর বেলা অনুমান ১২.০০ টার দিকে ভিকটিম তার নিজ নাম্বার থেকে ছোট বোনের স্বামীকে কল করে বলে সে অনেক বিপদে আছে জরুরী টাকা লাগবে। এই বিষয়টি ছোট বোনের স্বামী ভিকটিমের স্ত্রীকে জানালে সে স্বামীকে টাকা দিতে বলে। একই দিনে দুপুর অনুমান ১২.৩০ টার সময় বিকাশের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকা পাঠায়। আবারও একই দিনে ০৪.০০ টার সময় বিকাশে আরো কিছু টাকা পাঠাইতে বলে। এরপর ১৫ হাজার টাকা পাঠানো হয়। টাকা পাঠানোর পর বাদীর স্বামীর নাম্বারে কল করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর নিহত হারুনের স্ত্রী থানা পুলিশের সহায়তায় টাকা প্রেরিত বিকাশ নম্বরের অবস্থান সনাক্ত করে ডেমরা থানা পুলিশকে জানায়।
ওসি ডেমরা আরো বলেন, পরবর্তী সময়ে ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখ রাত অনুমান ১০.৩০ টায় ডেমরা থানা পুলিশের মাধ্যমে হারুনের স্ত্রী সংবাদ পেয়ে ডিএন্ডডি খালে পাওয়া মৃতদেহটি তার স্বামীর বলে সনাক্ত করেন।
ডেমরা থানায় উক্ত ঘটনায় মামলাটি রুজু হওয়ার তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শরীয়তপুর জেলা ও ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ১টি খয়েরী রংয়ের ট্রলি ব্যাগ, ১টি বালিশ, ১টি ষ্ট্যাম্প ও ১টি রশি উদ্ধার করা হয়।