বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল এর মধ্য দিয়ে।
মঙ্গলবার মাগরিবের পর ধানমণ্ডির সুধা সদনে ওয়াজেদ মিয়ার জন্য মিলাদ মাহফিল হয়। সেখানে স্বজনদের নিয়ে দোয়া করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং আলোচনা সভার মাধ্যমে তাকে স্মরণ করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ আসর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও স্মরণসভার আয়োজন করে ঢাকা মহনগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়।
বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি কনফারেন্স হলে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ।
এছাড়া রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, এম এ ওয়াজেদ ফাউন্ডেশন ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন মিলাদ, দুঃস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।
১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে ওয়াজেদ মিয়ার জন্ম। প্রয়াত আবদুল কাদের মিয়া ও ময়জান নেছার সন্তান ওয়াজেদ মিয়া ‘সুধা মিয়া’ নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন।
ওয়াজেদ মিয়া ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জন করেন।
১৯৬৫ সালে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে আণবিক শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যানেরও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন এবং ১৯৬১ সালে ফজলুল হক হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিয়ে করেন।
পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই লেখেন। রাজনীতি নিয়েও বই লিখেছেন ওয়াজেদ মিয়া। ২০০৯ সালের ৯ মে মারা যান তিনি।