সোমবার সকালে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির থিংক ট্যাংক ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘তিস্তা চুক্তির অপেক্ষায় বাংলাদেশ’। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার দীর্ঘদিন সম্পর্ক এখন অনেক পরিপক্ক। পাশাপাশি এটা বহুমাত্রিক ও কৌশলগত। তিস্তা চুক্তি হলে এ সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নেবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সফরে না হলেও শিগগির তিস্তা চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশ্বাসে ভরসা ছিল। তিস্তা চুক্তি সই হলে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক রূপান্তরের নতুন পর্যায় অতিক্রম করবে।
সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমাদের শত্রু একটিই, তা হচ্ছে দারিদ্র। চার দিনের সফর শেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিস্তা দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করবে। আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের অভিন্ন পানিসম্পদকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ করার শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। আমাদের অভিন্ন ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হবে অভিন্ন নদীগুলোর পানি ব্যবস্থাপনার সমাধানের জন্য একটি সমন্বিত, অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা।
তিস্তা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যত দ্রুত সম্ভব চুক্তি সইয়ের ব্যাপারে তার সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এটি হওয়ার পর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের রূপান্তরের আরেকটি পর্যায় অতিক্রম করবে।
শেখ হাসিনা একপর্যায়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেটির ওপর আমরা ভরসা রাখছি। ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সংবর্ধনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এল কে আদভানি।