শুক্রবার রাতে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্কের রাজধানী। স্থানীয় সময় রাত ৮ টা বেজে ৫৫ মিমিটে তুরস্কের ইলাজিগের সিভরাইস জেলায় শক্তিশালী কম্পনটি আঘাত হানে। ভয়াবহ এই কম্পনে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত ভয়াবহ কম্পনে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত এক হাজারেও বেশি মানুষ। কম্পনের ফলে একাধিক বহুতল ধসে পড়েছে। ধসে পড়া বহুতলের মধ্যে আরও অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৮।
ওই বিপর্যয়ের পর সেখানকার এক বাসিন্দার বলেন, “এটা খুব ভয়ঙ্কর ছিল, আসবাবগুলি আমাদের উপরে পড়েছিল। আর আমরা ছুটে বাইরে এসেছি। ” মেলাহ্যান্ট ক্যান নামে ৪৭ বছরের ওই ব্যক্তির জানিয়েছেন, যেহেতু তাঁর বাড়িও প্রায় ভেঙ্গেই গিয়েছে, তাই এখন বেশ কয়েকেটি দিন শহরের বাইরের একটি ফার্মহাউসে কাটিয়ে দেবেন।
অন্যদিকে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে, সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোইলু বলেছেন, কম্পনের ফলে বেশকিছু বিল্ডিং ধসে পড়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যে ১৮ জন মারা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ইলাজিগ প্রদেশের ৮ জন, মালাতিয়াযর ৬ জন বাসিন্দা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তুর্কি সংবাদ মাধ্যমের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলগুলি দেখিয়েছে, চভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত মানুষজন প্রাণ হাতে করে নিয়ে পালাচ্ছে। আর একটি বাড়ির ছাদেও সে সময় আগুন লেগে যায় বলে খবর।
জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের পড়ে প্রায় ৬০ টি আফটার শক পাওয়া গিয়েছে। আতঙ্কে সেই শহরের মানুষজন। রাতে ঘুমোতেও ভয়ে রয়েছেন সেখানকার মানুষজন।