বড় ধরনের জনসমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ ব্যাংককে বিক্ষোভ-সমাবেশ প্রতিহত করতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড সরকার। জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে চারজন ব্যক্তি একসঙ্গে বাইরে থাকতে পারবেন না। আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে জরুরি অবস্থা কার্যকর হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে আটকের ঘটনাও ঘটেছে।
সরকারের দাবি, শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জরুরি অবস্থা জারির বিকল্প ছিল না। জানা গেছে, সে দেশের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের থাইল্যান্ডে ফেরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
গতকাল বুধবার ব্যাংককে সে দেশের রাজার গাড়িবহরকে উদ্দেশ্য করে বিক্ষোভ শুরু করে বহু মানুষ। তাদের দাবি, রাজনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি রাজা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতা কমাতে হবে এবং প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার যেন পদত্যাগ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি থাইল্যান্ড পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বেআইনিভাবে বহু মানুষকে ব্যাংককে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সেখানে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।
সরকারপক্ষের লোকদের সঙ্গে বিরোধীরা যেন সংঘর্ষ না জড়াতে পারে, সেজন্য দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নিয়েছে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী।