ডিএমপি নিউজ: থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে ঢাকা মহানগরীর সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ও জনসমাগমের স্থানসহ সব জায়গায় নেয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকল জায়গায় পুলিশের তৎপরতা রয়েছে যাতে কোন ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে না পারে। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ইংরেজি নববর্ষ।
থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও গুলশান ডিপ্লোমেটিক এলাকায় ডিএমপির গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) রাত এগারোটায় গুলশান-২ গোলচত্বরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে কমিশনার বলেন, আমরা পুরো ঢাকা শহর জুড়ে নিয়েছি সুদৃঢ়, নিশ্ছিদ্র ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন শৃংখলা রক্ষার্থে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। পাশাপাশি চেকপোস্ট ও টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমাদের সোয়াট, ডগ স্কোয়ার্ড ও বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে যে কোন অনাকাঙ্গিত ঘটনা প্রতিরোধে।
কমিশনার বলেন, নববর্ষ উপলক্ষে সম্মানিত নগরবাসী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে আমরা সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। প্রত্যেকটি জায়গায় ডিএমপির সিনিয়র অফিসারগণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করছে। যাতে করে থার্টি ফাস্ট নাইটের শেষ সময় ও ইংরেজী নববর্ষের প্রথম প্রহর ঢাকা মহানগরবাসী সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারে।
ফানুস উড়ানো সম্পর্কে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জনগণের নিরাপত্তা ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য অনিষ্টকর হতে পারে এমন কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করেছি। যেটিতে ক্ষতিকর বিভিন্ন বিষয় রয়েছে আমাদের উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা যেন সেদিকে না যায়। যেমন-ফানুস উড়ানো, পটকা ফুটানো ও আতশবাজি করা না হয়। যার ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে, পরিবেশ ও পশুপাখির ক্ষতি হতে পারে সমস্ত কিছু বিবেচনা করে আমরা বিভিন্নভাবে সেটা জনগণকে জানানোর চেষ্টা করেছি, সচেতন করার চেষ্টা করেছি। আমরা আশা করি ঢাকা মহানগরের যে সমস্ত জনগণ রয়েছে তারা সকলেই সচেতন এবং সচেতনভাবে তারা তাদের সন্তানদের নিয়ন্ত্রণে রাখবে ও জনবিরোধী কাজ না করে সে বিষয়ে সচেতন থাকবে। তারপরও যদি এর ব্যত্যয় দেখা যায় বা কোন দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আরো বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে কোন ধরনের সুনির্দিষ্ট হামলা বা জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই। তারপরও আমরা সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিকল্পনা করেছি। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে একটি বিশেষ মহলের অপতৎপরতা রয়েছে। সেই বিশেষ মহল যাতে কোন সুযোগ নিতে না পারে সে বিষয়েও আমরা সচেতন রয়েছি। সব ধরনের অপতৎপরতা রোধ করে দেয়ার জন্য পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে এবং সেই সক্ষমতাও পুলিশের রয়েছে।
সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার; যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।