ডিএমপি নিউজ : ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোস্তাক আহমেদের পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধানে যানজট নিরসনকল্পে প্রতিটি ট্রাফিক জোনকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত করা হয়েছে। একেকটি ক্ষুদ্র অংশ বিবেচনায় নিয়ে সেখানকার অংশীজনদের সাথে নিয়ে আলোচনাপূর্বক যানজট নিরসনের পরিকল্পনা গৃহীত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রিং রোড, জাপান গার্ডেন সিটি, শিয়া মসজিদ, তাজমহল রোড, মোহাম্মদিয়া হাউজিং ও চাঁনমিয়া হাউজিং কেন্দ্রিক যানজট নিরসনকল্পে আজ রোববার সকালে শ্যামলী রিং রোডের টোকিও স্কয়ার কনভেনশন হলে মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এমন সভা আয়োজন করায় ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তারা বলেন, ট্রাফিক পুলিশের স্বল্প জনবল দিয়ে সব কাজ করা সম্ভব নয়, এজন্য আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সচেতন হতে হবে। অংশীজনদের অনেকেই ট্রাফিক বিভাগের এই অংশে যানজটের অন্যতম কারণ হিসেবে অধিকাংশ মার্কেটের নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা না থাকা, ফিডার রোডের আধিক্য, উল্টো পথে যানবাহন চলাচল ও যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের কথা উল্লেখ করেন।
সভার সভাপতি মোস্তাক আহমেদের আহ্বানে অংশীজনদের অনেকেই ট্রাফিক পুলিশকে কমিউনিটি পুলিশ দিয়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন। তাছাড়া যানজট নিরসনে সর্বসম্মতিক্রমে ট্রাফিক বিভাগ, ক্রাইম বিভাগ ও অংশীজনদের সমন্বয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়। এ ধরনের মতবিনিময় সভা যানজট নিরসনে ফলপ্রসূ হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-তেজগাঁও) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-মোহাম্মদপুর জোন) মোহাম্মদ ইমরুল, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পেট্রোল-মোহাম্মদপুর) তানজিল আহমেদ, আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ ছাড়াও প্রায় ২০০ জন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।