এক পশলা বৃষ্টির জন্য চাতক পাখির ন্যায় আকাশ পানে তাকিয়ে রয়েছে সৃষ্টির প্রানী কূল। চাই একটু প্রশান্তি বৃষ্টি। গ্রীষ্মের প্রচন্ত তাহদাহে অতিষ্ট মানুষ ও অন্যান্য প্রানীর জীবন। বৈশাখের শেষে এসে সর্বত্র অস্বস্তিকর গরম বিরাজ করছে।
আশার বানী হিসেবে এরই মধ্যে রংপুর, খুলনা ও সিলেটের কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার থেকে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে জানিয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বৃহস্পতিবার সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ফরিদপুর, মাদারীপুর, সাতক্ষীরা, রাঙ্গামাটি, মাইজদীকোর্ট, ফেনী, রাজশাহী, খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, যশোর, বরিশাল, খেঁপুপাড়া ও ভোলায় এই তাপদাহ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তা অব্যাহত থাকতে পারে।
“কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ায় তাপমাত্রাও কমতে থাকবে, তবে অস্বস্তিকর গরম সহজে ছাড়ছে না। ফের চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে গিয়ে তাপমাত্রা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ সময় মৃদু তাপপ্রবাহ আবার শুরু হতে পারে।”
চলতি মৌসুমে এটা তৃতীয় দফা মৃদু তাপদাহ চলছে। এর আগে মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি তাপপ্রবাহের কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুটি তীব্র এবং অন্যত্র দুই থেকে তিনটি মৃদু বা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে যদি ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে, আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অফিস।