চীনা সংস্থা সাইনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি কোভিড-১৯ টিকা ‘করোনাভ্যাক’ নিরাপদ এবং অ্যান্টিবডি তৈরিতে ভাল সাড়া দিয়েছে বলে দাবি করেছে সাইনোভ্যাক। সাইনোভ্যআক-এর এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে ‘দ্য ল্যানসেট ইনফেকশাস ডিজিস’ জার্নালে।
সাইনোভ্যাক-এর গবেষকদের দাবি, অন্যান্য টিকার থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত করোনাভ্যাক। অন্তত প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল তেমনই ফল পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তাদের। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রাথমিক থেকে মাঝ পর্যায়ের ট্রায়ালে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে, তা চূড়ান্ত পর্যায়ে কতটা কার্যকরী হবে, তা বলা এখনই সম্ভব নয়।
সাইনোভ্যাকের গবেষক দাবি করেন, “১৪ দিনের অন্তরে করোনাভ্যাকের দুটো ডোজ দেওয়া হয় এই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের। তাতে দেখা গেছে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।”
করোনার টিকা নিয়ে সাইনোভ্যাক-সহ মোট ৫টি সংস্থা কাজ করছে চীনে। প্রত্যকটিই পরীক্ষার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। সাইনোভ্যাকও পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে। এই ট্রায়াল চলছে ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল এবং তুরস্কে।
সাইনোভ্যাকের আর এক গবেষকের দাবি, দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরির পাশাপাশি করোনাভ্যাকের আরও একটা ভাল দিক হল এই টিকা রেফ্রিজারেটরে সাধারণ তাপমাত্রা অর্থাৎ ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সংরক্ষিত করা যাবে। এবং ৩ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকবে।
করোনা টিকা সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে প্রায় একই রকম দাবি করেছে মডার্না। তাদের দাবি, মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৬ মাস পর্যন্ত অক্ষত ভাবে মজুত করা যাবে টিকা। সাধারণ বাড়ির রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৩০ দিন পর্যন্ত রাখা যাবে। ঘরের তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা ঠিক থাকবে। আবার ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন মজুত করতে আল্ট্রা কোল্ড-স্টোরেজ প্রয়োজন। মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এটি ছ’মাস মজুত রাখা যাবে। সাধারণ রেফ্রিজারেটরে মাত্র ৫ দিন পর্যন্ত ঠিক থাকবে। সে দিক থেকে করোনাভ্যাক অনেকটাই এগিয়ে ।
সাইনোভ্যাক সূত্রে খবর, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ব্রাজিল এবং ইন্দোনেশিয়ায় করোনাভ্যাক দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে।