ডিএমপি নিউজ: রোদ-বৃষ্টি-ঝড়, ধোঁয়া-ধুলো-বালি, শব্দ এসব মাথায় নিয়েই রাস্তায় দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। রমজান মাসেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। রোজা রেখে প্রচণ্ড খরতাপ মাথায় নিয়ে রাজধানীর রাস্তার মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
সামনেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। একারণে কর্মব্যস্ততা বেড়েছে ঢাকা মহানগরীর বাসিন্দাদের। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে রাস্তার যানজটও। সন্ধ্যা নামার আগেই অনেকে বাসায় ফিরতে চান। রাস্তায় থাকে মানুষের ভিড়। একারণে রাস্তায় বাড়ে যানবাহনের চাপ। সেই যানজট নিরসনে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। এরপরও ঘরমুখো মানুষ যেন ইফতারের আগেই গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারে এজন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। সাধারণ মানুষ তাদের প্রিয়জনদের সাথে ইফতার করতে পারলেও, প্রিয়জনদের সাথে ইফতার করা হয় না ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। ইফতারের সময়ও তাদের ডিউটি করে যেতে হয়। এর ফাঁকে কোনো ভাবে রাস্তায়ই সেরে নিতে হয় তাদের ইফতার।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে ইফতারি করেন তারা, বসারও জায়গা থাকে না অনেক সময়।কখনো বসার জায়গা থাকলেও বসার সময়ও পান না তারা। ইফতারির ফাঁকেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হয়ে তাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল ২০২৩) বিজয় স্মরণি ট্রাফিক মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সম্মানে তাদের সঙ্গে ইফতারে শরিক হন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
ইফতারের সময়ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইফতারের সময় সবাই বাসায় ইফতার করার জন্য গাড়ি নিয়ে ছুটছে। কিন্তু আমাদের ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকে। যাতে সবাই স্বস্তিতে বাসায় গিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করতে পারে। তারা ইফতারের সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। এ সময় তারা একহাতে পানির বোতল নিয়ে ইফতার করে এবং অন্যহাতে সিগনাল দিয়ে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখছে। তাদের এই দায়িত্ব পালন শুধু দেশের প্রতি ও দেশের জনগণের প্রতি।
তিনি বলেন, ট্রাফিক পুলিশের সম্মানে আমরা প্রতি বছর বিভিন্ন ট্রাফিক মোড়ে তাদের সঙ্গে ইফতারে শরিক হই। ডিএমপির যেসব ট্রাফিক পুলিশ সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে নগরবাসীকে বাসায় ইফতার করার সুযোগ করে দেয় আমি তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা শুধু ট্রাফিক পুলিশের দোষ-ত্রুটি দেখেন। কিন্তু তারা যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আপনাদের সেবায় নিয়োজিত থাকে সেই বিষয়টি মাথায় রেখে মানবিক দৃষ্টিতে দেখবেন ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন।
এ সময় অসহায়, দরিদ্র ও পথশিশুদের মাঝেও ইফতার বিতরণ করে ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।