প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন ও বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের মধ্যদিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করলো মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি। বঙ্গবন্ধুর ৪২ তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার বিকেলে ঢাকার রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র মিলনায়তনে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার রুশ ফেডারেশন দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স সিরগেই এ পোপড। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আজিজুর রহমান আজিজ, বাংলাদেশ রাশিয়া মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা.শহিদুল্লাহ সিকদার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালেদ হোসাইন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ একাডেমির চেয়ারম্যান ড.আবুল আজাদ।
পর্দায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজে স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি বাঙ্গালি জাতিকেও স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, ত্যাগ ও সংগ্রামে আমরা একাত্তরে মহান স্বাধীনতা লাভ করতে পেরেছি। এই মহান নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম কিনা সন্দেহ। পাঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা ব্যক্তি মুজিবকে হত্যা করতে পারলেও আদর্শ মুজিবকে হত্যা করতে পারে নি। তাঁর আদর্শ এখনো আমাদেরকে প্রেরণা জোগায়।
অনুষ্ঠানে ড. নূহ উল আলম লেনিন প্রণীত ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেগুপ্তা নেসার। পরে ড. এবিএম আমানুল্লাহ প্রণীত ‘বাংলাদেশ ও জার্মানীর প্রাথমিক স্তরের ভাষা ও শিক্ষা পদ্ধতি: একটি তুলনামূলক নিরীক্ষা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এরপর বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শিশুদের চিত্রাঙ্গণ প্রতিযোগিতার পুরষ্কার প্রদান করেন প্রধান অতিথি। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রফেসর আহমেদ রেজা। বিবি/০৪