কিংস ইলেভেনকে হারিয়ে প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৷ দু’দলের কাছেই মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হিসাবে বিবেচিত ছিল ওয়াংখেড়র লড়াই ৷ টসে জিতে মুম্বাইকে ব্যাটিংয়ে পাঠান পাঞ্জাবের অধিনায়ক অশ্বিন। ইনিংসের শুরুটা মন্দ হয়নি মুম্বাইয়ের ৷ প্রথম তিন ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান তোলেন সূর্যকুমার যাদব ও এভিন লুইস। তবে এভিন লুইস ৭ বলে ৯ রান করে আউট হওয়ার পরেই প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে রোহিতরা ৷ পাওয়ার প্লে’র মধ্যে আরও দু’টি উইকেট হারায় মুম্বাই৷ ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পর পর সাজঘরে ফেরেন ইশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব ৷ মুম্বাইয়ের প্রথম তিনটি উইকেটই তুলে নেন অ্যান্ডু টাই৷
রোহিত এদিনও ব্যর্থ। ক্রুনাল ২৩ বলে ৩২ রান করে স্টোইনিসের শিকার হলেও পোলার্ড ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৷ শেষে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ৫০ রান করে অশ্বিনের বলে ফিঞ্চের হাতে ধরা পড়ে যান ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ৷
পাঞ্জাবের হয়ে ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে চলতি আইপিএলের বেগুলি টুপি নিজের দখলে রাখেন টাই৷ ১৮ রানে দু’টি উইকেট নেন অশ্বিন ৷ একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজপুত ও স্টোইনিস৷
জয়ের জন্য ১৮৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে পালটা ব্যাট করতে নামা পঞ্জাব শুরুতেই ক্রিস গেইলের উইকেট খুইয়ে বসে৷ ১১ বলে ১৮ রান করে ম্যাকক্লেনাঘানের বলে কাটিংয়ের হাতে ধরা দেন ক্যারিবিয়ান দৈত্য৷ রাহুলের সঙ্গে জুটি বেঁধে অ্যারণ ফিঞ্চ প্রাথমিক বিপর্যয় কাটালেও ৩৫ বলে ৪৬ রান করে অজি তারকা আউট হওয়ার পরেই ধস নামে পঞ্জাব ইনিংসে৷
লোকেশ রাহুল ৬০ বলে ৯৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে বুমরাহর বলে আউট হন৷ গোটা ইনিংসে তিনি ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন৷ স্টোইনিস ১ রান করে বুমরাহর শিকার হন৷ সাজঘরে ফেরার আগে যুবির অবদান মাত্র ১ রান৷ অক্ষর প্যাটেল ১০ ও মনোজ তিওয়ারি ৪ রানে অপরাজিত থেকে যান৷
জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১৭ রান দরকার ছিল পঞ্জাবের৷ একটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ১৩ রান তোলে তারা৷ উত্তেজক ম্যাচে মাত্র ৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে হার মানতে হয় পঞ্জাবকে৷
মুম্বাইয়ের হয়ে ১৫ রানে তিনটি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন বুমরাহ৷ এছাড়া ম্যাকক্লেনাঘান নিয়েছেন দু’টি উইকেট ৷ এই ম্যাচে জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে মুম্বাইয়ের সংগৃহীত পয়েন্ট দাঁড়ায় ১২৷ শেষ ম্যাচে জয় তুলে নিলে প্লে-অফের দরজা খুলে যেতেই পারে রোহিতদের সামনে৷