রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন দেশটির এক আদালত। ২০০৭ সালে সাংবিধানিক জরুরি অবস্থা জারির দায়ে এই নির্দেশ দেয়া হয়।খবর: বিবিসি
দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকারের পক্ষে আইনজীবী আলী জিয়া বাজওয়া সাবেক এই সামরিক শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপনের জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলেন।
১৯৯৯ সালে এক সেনা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নওয়াজ শরিফের হাত থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছিলেন মুশাররফ৷ ক্ষমতায় ছিলেন ২০০৮ সাল পর্যন্ত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার জেরে৷সেই মামলাতেই এ দিন তাঁকে ফাঁসির সাজা শোনায় ৩ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ৷যার অন্যতম পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শেঠ৷ ২০০৭ সালে মুশাররফ জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট জরুরি ওই সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল৷
এর আগে বিশেষ আদালত তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, মুশারফ তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে পারেন৷ দুবাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে নিজের বয়ান রেকর্ডও করে পাঠিয়েছিলেন মুশাররফ৷ জানিয়েছিলেন, বিচার বিভাগীয় দল গিয়ে তাঁর বয়ান লিখে নিয়ে যেতে পারে৷
২০১৬ সালেই দেশ ছেড়ে দুবাইয়ে চলে গিয়েছিলেন মুশাররফ৷ জানিয়েছিলেন চিকিৎসার জন্যই সেখানে যাচ্ছেন তিনি৷ কিন্তু এর পর আর কখনও পাকিস্তানে ফেরেননি মুশাররফ৷ একাধিকবার জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার জন্যই দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি৷ গত ৪ ডিসেম্বর দুবাইয়ের একটি হাসপাতাল থেকে এক টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি শেষবার বলেছিলেন, ‘আমি পাকিস্তানের জন্য লড়াই করেছি৷ আশা করি সুবিচার পাবো৷’