খুব শিগগিরই পিএসসির (বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন) মাধ্যমে নন-ক্যাডার কানুনগো ও তহশিলদার (ভূমি সহকারি কর্মকর্তা) নিয়োগ দেওয়া হবে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
বুধবার সকালে নীলক্ষেতে অবস্থিত ‘ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এলএটিসি)’-এর ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারিত ভবন (৬ষ্ঠ হতে ১২ তলা) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিএসসির মাধ্যমে এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নীতিমালা তৈরির কাজ প্রায় শেষ।
উচ্চ শিক্ষিত মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তারা ভূমি সেবায় গুণগত পরিবর্তন আনবে।
উপস্থিত প্রশিক্ষণরত সহকারি কমিশনারদের (ভূমি) সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা হিসেবে সততা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যতদিন আপনারা কাজ করবেন তার কর্মকৃতি মূল্যায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে (বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়) পাঠানো হবে। সেসব মূল্যায়নে আপনাদের পরবর্তী পদায়ন, পদোন্নতি এবং পদ থেকে প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে বিবেচনার জন্যে সুপারিশ থাকবে।
এসিল্যান্ডদের নেতৃত্ব গুণাবলী দিয়ে নিজেদের কর্মস্থল ব্যবস্থাপনা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, যাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্যে আপনাদেরকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে তাদের কথা শুনে অন্ধভাবে সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন না। প্রয়োজনে পরামর্শ নিলেও সিদ্ধান্ত প্রদান করার পূর্বে তা যাচাই করবেন কয়েক জায়গা হতে ।
এসি ল্যান্ড হিসেবে আপনাদের সিদ্ধান্তে অনেক মানুষের পারিবারিক ও অর্থনৈতিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পরে; সুতরাং মানুষের যেন হয়রানি না হয় তা সবসময় মনে রাখবেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) ও অতিরিক্ত সচিব (অধিগ্রহণ ও সায়রাত) মো. সিরাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব (আইন) মো মাসুদ করিম, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আব্দুল হাই, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শওকত ঊল্ল্যাহ। এছাড়াও ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বর্তমানে প্রশিক্ষণরত এসিল্যান্ডবৃন্দ অনুষ্ঠানে ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বরাদ্দকৃত অর্থ হতে প্রায় এক কোটি চল্লিশ লাখ টাকা কম ব্যয়ে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকায় (প্রায়) ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬ষ্ঠ তলা হতে ১২ তম তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কর্মকাণ্ড শেষ হয়।
সকল ধরণের আনুষঙ্গিক সুযোগ সুবিধা সহ সম্প্রসারণের ফলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলএটিসির প্রশিক্ষণ প্রদানের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
যেমন, বর্তমানে ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে, পূর্বে যা ছিল ৩০ এবং বর্তমানে ৯০জন প্রশিক্ষণার্থীর আবাসনের সংকুলান হচ্ছে, পূর্বে যা ছিল ৩০ জনের।