ডিএমপি নিউজঃ “মা মারা গেলে বলবেন লাশ নিয়ে যাবো” শিরোনামে গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা টাইমস অনলাইন পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশ হয়। এমন সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি গোচরীভূত হলে বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর মিডিয়া বিভাগের নির্দেশনায় কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মশিউর রহমান পিপিএম বৃদ্ধার আত্মীয় স্বজনদের খুঁজে বৃদ্ধাকে পরিবারের সাথে থাকার ব্যবস্থা করেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মশিউর রহমান পিপিএম ডিএমপি নিউজকে বলেন, পত্রিকার রিপোর্টে নাম ঠিকানা কোন কিছু না থাকায় বৃদ্ধা মাতার আত্মীয় স্বজনদের খুঁজতে একটু সমস্যা হয়। মিরপুর পাইকপাড়ার সেই বৃদ্ধাশ্রমকে প্রথমে খুঁজে বের করি। বৃদ্ধাশ্রমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বৃদ্ধা মহিলার কোন আত্মীয়ের ঠিকানা চাই। কিন্তু তারা কোন নাম ঠিকানা দিতে পারেন না। পরে বিভিন্ন সময় মোবাইলে বৃদ্ধা মহিলাকে নিয়ে যেসব নাম্বারে কথা বলা হয়েছে তা সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তী সময়ে নাগরিক তথ্য ড্যাটা বেজের সাহায্যে বৃদ্ধা মহিলার ছেলে আলাউদ্দিন এর ঠিকানা সংগ্রহ করে তার সাথে কথা বলে তাকে বুঝাই। সেই বুঝ মানলে তাকেসহ চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে যেয়ে সেখান থেকে বৃদ্ধা আম্বিয়াকে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি ছিল, সন্তানদের সঙ্গে থাকতেন আম্বিয়া খাতুন। পাঁচ বছর আগে পড়ে গিয়ে ডান হাত ভাঙ্গে এই বৃদ্ধার। হারিয়ে ফেলেন চলাফেরার শক্তি। হয়ে পড়েন মানষিক ভারসাম্যহীন। এরপর সন্তানদের কাছে অচ্ছুত হয়ে যান এই মা। এক নাতনী ২০১৮ সালে অজ্ঞাত পরিচয়ে মিরপুরের পাইকপাড়ার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে রেখে যান। বৃদ্ধা এই মায়ের মন তার পরিবারের সদস্যদের কাছে যাওয়ার জন্য আকুল হয়ে আছে, মৃত্যুর আগে দেখে যেতে চায় প্রিয় সন্তানদের মুখ। কিন্তু সন্তানদের মন যে মায়ের জন্য কাঁদে না। কেয়ার সেন্টারে বৃদ্ধাকে রেখে যাওয়ার সময় একটি নাম্বার দিয়ে ছিল অজ্ঞান পরিচয়ধারী। পরবর্তী সময়ে ঐ নাম্বারে কল করে বৃদ্ধা মহিলাকে নিয়ে যেতে বললে অপর পাশ থেকে বলে “মা মারা গেলে বলবেন লাশ নিয়ে যাবো”।