শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা নিয়ে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন পোপ ফ্রান্সিস। ৩০ বছর পর ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান কোনো ধর্মগুরু বাংলাদেশ সফরে এলেন। আজ বেলা তিনটার কিছু আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি অবতরণ করেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ পোপকে লালগালিচা অভ্যর্থনা জানান। একই সঙ্গে তাকে গার্ড অব অনারসহ সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হয়। পোপকে স্বাগত জানাতে মন্ত্রী পরিষদের সদস্যসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধি এবং ভ্যাটিকান রাষ্ট্রদূতসহ কূটনীতিকরা বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
বিমানবন্দর থেকে পোপ যাবেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে। সেখান থেকে ফিরে ধানমন্ডির ৩২নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিকে পুষ্পমাল্য অর্পন এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। বিকালে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও কূটনীতিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন পোপ।
শুক্রবার স্বাধীনতার স্মৃতি বিজরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৮০ হাজার পূণ্যার্থীর উপস্থিতিতে প্রার্থনা সভা ছাড়াও খ্রিস্টান যাজক এবং যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় হবে তার। নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও পোপের সাক্ষাৎসূচি রয়েছে। এছাড়া সফরের তৃতীয় দিন কাকরাইল চার্চে সর্বধর্মীয় সভায় বক্তব্য দেবেন। পরিদর্শন করবেন তেজগাঁও গির্জা। এদিন বিকালেই তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
১৯৭০ সালে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ১৪ দিন পর ২৬শে নভেম্বর তৎকালীন পোপ ষষ্ঠ পল ফিলিপাইনে যাওয়ার পথে বাংলাদেশে এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করেছিলেন। আর পূণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় এবং পালকীয় সফরে ১৯৮৬ সালের ১৯শে নভেম্বর পোপ দ্বিতীয় জন পল বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।