কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ পদে চাকুরী ও শেয়ারের প্রলোভন দেখিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার ২৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে উধাওয়ের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ রেজাউল করিম ওরফে সিদ্দিক।
পিবিআই সূত্রে জানানো হয়, জনৈক অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা গত ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ মনিপুর মসজিদ থেকে যোহরের নামাজ পড়ে মিরপুরের রাস্তায় বের হতেই রেজাউল করিমসহ তার এক সহযোগী মশিউর রহমান তাকে সালাম প্রদান করে। পরবর্তী সময়ে কথার এক পর্যায়ে অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তার পরিচয় জেনে নিয়ে তাকে তাদের কথিত কোম্পানি ওসাকা গ্রæপ অফ কোম্পানিতে এক্সিকিউটিভ পদে চাকুরীর প্রস্তাব দিয়ে একটি ভিজিটিং কার্ড প্রদান করে।
১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ মশিউর রহমান নিজেকে ড. পরিচয় দিয়ে ফোন করে পুরো বায়োডাটাসহ তাদের অফিস মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এর পিছনে ৩তলা আসার জন্য বলেন। পরেরদিন তিনি অফিসে আসলে বায়োডাটা দেখে হালনাগাদ করে আসার জন্য বলেন। ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তিনি বায়োডাটা জমা দেন এবং সেখানে আরো কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয়। তারা তাকে কথিত ওই কোম্পানির এক্সিকিউটিভ পদে চাকুরী দেয় এবং শেয়ার পার্টনার করার প্রলোভন দেয়।
অবসরপ্রাপ্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তা শেয়ার পার্টনার হিসেবে ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল পৌনে এগারটায় এক লক্ষ এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে ১৪ লক্ষ এবং নগদ ৮ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। তিনি ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ওই অফিসে গিয়ে অফিস বন্ধ পান এবং দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করলে তারা বাসা ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে জানায়।
এই ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ডিএমপি’র আদাবর থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়। যা তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
পিবিআইয়ের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশন টিম বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও কৌশল অবলম্বন করে অভিযুক্ত মোঃ রেজাউলকে ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত সাড়ে দশটায় বিজয়নগর মোড় থেকে গ্রেফতার করে। তার হেফাজত হতে দু’টি মোবাইল ও দু’টি ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত রেজাউল ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
অন্যান্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রেখেছে পিবিআই।