পরীক্ষামূলকভাবে দেশের প্রথম ক্রুজ টার্মিনালের যাত্রা শুরু হয়েছে। কক্সবাজারের রেজু খাল এলাকায় সমুদ্র উপকূলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সেন্টমার্টিনমুখী পর্যটকবাহী একটি জাহাজ ক্রুজ টার্মিনালে ভেড়ানোর মধ্যদিয়ে পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আভ্যন্তরীণ ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্রুজ টার্মিনাল থাকলেও বাংলাদেশে তা গড়ে উঠেনি। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা) কর্তৃক টেকনাফে সাবরাং পর্যটন পল্লী এবং সোনাদিয়া সমুদ্র উপকূলে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের ইতোমধ্যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে বেজার অনুরোধে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ রামু উপজেলাধীন ইনানী সংলগ্ন সমুদ্র উপকূল থেকে একটু ভেতরে ক্রুজ টার্মিনাল বা জেটি নির্মিত হয়েছে।
গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নৌবাহিনীর মহড়া ওই টার্মিনালে অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০০ মিটার দীর্ঘ উক্ত জেটি নির্মাণের পূর্বে ড্রেজিংসহ পরীক্ষামূলকভাবে জাহাজ ভেড়ানো হয়। পরবর্তীতে উপকূলীয় ওই খাল এলাকায় আরো ব্যাপক ড্রেজিং কার্যক্রমের মাধ্যমে যাত্রীবাহী জাহাজ ভেড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। গতকাল ১২০ জন পর্যটকবাহী গ্রীণ লাইন-১ জাহাজটি উক্ত জেটিতে ভেড়ে।
সরকার সমুদ্র উপকূলসহ দ্বীপ এলাকায় পর্যটকদের নিয়ে যাওয়াসহ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য তাদের ভ্রমণ আকর্ষণীয় করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এতে করে দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রার যোগ হবে। ফলে আর্থিক ক্ষেত্রেও সরকারের এবং বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। সরকার পর্যায়ক্রমে এটি আভ্যন্তরীণ পর্যায় থেকে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রস্তুত করবে। সে লক্ষ্য নিয়ে এই ক্রুজ টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রতিদিন সেন্টমার্টিন এলাকায় প্রায় ৩ হাজার পর্যটক যায়। ক্রুজ টার্মিনাল পুরোদমে চালু হলে তা আরো বহু গুণে বেড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ক্রুজ টার্মিনালটি প্রায় ১৬ একর জায়গা নিয়ে তৈরি করা হলেও পর্যায়ক্রমে তা ১০০ একরে উন্নীত হবে।