ডিএমপি নিউজঃ উচ্চ রক্তচাপ সব বয়সী মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাঝে রাখে। কলেস্টোরল বৃদ্ধি, মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে ইদানিং অনেক কম বয়সী মানুষকেও উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। চিকিৎসকরা বলেন, হাই ব্লাড প্রেসার থাকা শরীরের পক্ষে বেশি ক্ষতিকারক। এতে হার্ট অ্যাটাক, সেরেব্রাল অ্যাটাক বা স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সব সময়ই নির্ভর করি ডাক্তার আর ওষুধের ওপর। এর বাইরেও আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।
আসুন তাহলে জেনে নেই কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়ঃ
পাতা কপিঃ কোয়ারসেটিন, বিটাক্যারোটিন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই সবজিটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক।
পালংশাকঃ পালংশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেইট এবং পটাশিয়াম যা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা সমাধানে কাজ করে। কলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই খাবার তালিকায় পালংশাক রাখুন সুস্থ দেহের জন্য।
ক্যাপসিকামঃ এতে আছে ভিটামিন সি। যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রক্তচাপ কমায়।
টমেটোঃ টমেটো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর একটি সুপারফুড। টমেটো দেহের বাড়তি কলেস্টোরল কমাতে বেশ কার্যকরী একটি সবজি। দিনে মাত্র ১ টি কাঁচা টমেটো উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করবে চিরতরে।
রুই মাছঃ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড প্রদাহ কমায়, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
ধনেপাতা : প্রচুর পরিমাণে বায়োঅ্যাকটিভ রয়েছে ধনে পাতাতে। যেমন – অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিডিপ্রেস্যান্ট, অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি ও হতাশা কমানোর উপাদান। তাই ধনেপাতা খেলে কমে যেতে পারে ডায়াবিটিজ়, কোলেস্টেরলের সমস্যাও।
পাতিলেবু : ভিটামিন সি’তে ভরপুর পাতিলেবু হৃদযন্ত্রের সূক্ষ্ম নলগুলির শক্তি বাড়ায়। এতে হাইপারটেনশনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ডার্ক চকলেটঃ শুনতে আশ্চর্য শোনালেও উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের জন্য ডার্ক চকলেট ঔষধের মত কাজ করে। প্রতিদিন সামান্য ডার্ক চকলেট দেহের খারাপ কলেস্টোরল শুষে নেয়ার কাজ করে। এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কলা : আগেই বলা হয়েছে, হাই ব্লাড প্রেসার কমিয়ে দিতে পারে। একটি কলায় ৪৫০ মিলিগ্লাম পটাশিয়াম থাকে। তাই প্রতিদিন কলা খেলে হাই ব্লাড প্রেসারের সমস্যা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।
পেঁয়াজ : পেঁয়াজ রয়েছে অ্যাডেনোসিন। এটি পেশি শিথিল করে। যা হাইপারটেনশনের রোগীদের চিকিৎসায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে পেঁয়াজ। কাঁচা পেঁয়াজ রস বানিয়েও খেতে পারেন। রসের স্বাদ ভালো না লাগলে তাতে সামান্য মধু মেশাতে পারেন।
রসুন :ধমনী ও শিরায় জমে থাকা কোলেস্টেরল গলিয়ে দিতে সাহায্য করে রসুন। এটি রক্তের প্রবাহ বাড়ানো ও ব্লাড প্রেসার কমানোর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।
ডাবের পানি : ডাবের জলে রয়েছে পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি ও অন্যান্য নিউট্রিয়েন্টস্। এই উপাদানগুলি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
তরমুজ: তরমুজে আছে আরজিনাইন। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড যা উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে ফেলতে পারে।
জাম্বুরাঃ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটিতে আরো আছে লাইকোপেন নামের উপদান। যা রক্তচাপ কমাতে বেশ কার্যকর।
এছাড়া মটরশুটি, সবুজ শীম, পেঁপে ওটমিল, পেয়ারা এবং কিউই ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপাদান রয়েছে। তথ্যসূত্রঃ ওয়েবসাইট।