প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ন্ত্রের সাধ্য কারও নেই৷ কিন্তু, অগ্রীম পূর্বাভাস অনেকাংশে রক্ষা করতে পারে বিধ্বংসী ক্ষয়ক্ষতিকে৷ কিছুদিন আগেই ইন্দোনেশিয়ার সুনামির ভয়বহতা দেখেছে বিশ্ববাসী৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধারটির একাংশ পরিণত হয়েছিল ধ্বংসাবশেষে৷ কান পাতলেই শোনা যেত হাহাকার৷ ঘরবাড়ি, পরিবার পরিজনকে হারিয়ে মানুষকে নিঃস্ব করেছিল এই ভয়ঙ্কর দুর্যোগটি৷
সেভাবেই সময়ের সঙ্গে উঠে এসেছে এমন হাজারো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ছবি৷ যা রীতিমত ভাবিয়েছে মানুষকে৷ কিন্তু, সম্পূর্ণ সমাধান না মিললেও আংশিক সমাধান মিলেছে৷ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন ইসরাইলের একদল গবেষক৷ তাঁরা জানিয়েছন, আকস্মিক বন্যার অগ্রীম পূর্বাভাস দেবে স্মার্টফোন৷ শুধু তাই নয়, অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্জয় সম্পর্কেও সর্তকতা দিতে সক্ষম হবে মাধ্যমটি৷ এর ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলিকে রোধ করা না গেলেও ঠেকানো যাবে অনেকাংশে৷
গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, বায়ুমন্ডলীর চাপ, উষ্ঞতা, আর্দ্রতা মত বিষয়গুলির পরিমাপ করবে স্মার্টফোন৷ কীভাবে কাজ করবে এই স্মার্টফোন সেন্সরগুলি, সেটি জানতে চারটি স্মার্টফোন ব্যবহার করেন গবেষকরা৷ বিষয়টি একটি জার্নালেও প্রকাশ করা হয়৷ এছাড়া, ইউকে বেসড অ্যাপ ওয়েদারসিগনালের ডেটাকেও বিশ্লেষণ করেন গবেষকরা৷ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক কলিন প্রাইস জানাচ্ছেন, ‘স্মার্টফোন থাকা সেন্সরগুলি প্রতিনিয়ত আমাদের পারিপ্বার্শিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিকে মনিটর করে চলেছে৷ যার মধ্যে মাধ্যকর্ষণ, পারিপ্বার্শিক চাপ, আদ্রর্তা, উষ্ঞতা, সাউন্ড লেভেল সহ একাধিক বিষয়গুলি রয়েছে৷’
প্রাইস জানিয়েছেন, আজকের দিনে সারা বিশ্বে ৩-৪ মিলিয়ন স্মার্টফোনে গুরুত্বপূর্ণ বায়ুমন্ডলের তথ্যের অস্তিত্ব রয়েছে৷ যেসব তথ্যগুলির আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে আরও বেশি সঠিক করার ক্ষমতা রয়েছে৷ গবেষকরা জানাচ্ছেন, ২০২০ সালের মধ্যে সারা বিশ্ব জুড়ে ৬ বিলিয়নেরও বেশি স্মার্টফোনের অস্তিত্ব থাকবে৷ এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে দিনের পর দিন বাড়ছে স্মার্টফোনের ব্যবহার৷ আর, হাতের কাছের এই ছোট ডিভাইসটিকে কাজে লাগিয়েই আগাম বিপর্যয় থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন৷