সূর্যমুখী চাষে কোন ঝুঁকি নেই। ভোজ্য তেল ও সব ধরণের সবজির সঙ্গে খাওয়া যায়। পুষ্টিমান অনেক বেশি। কোলেস্টেরলমুক্ত তেল। এ অঞ্চলের কৃষকের কাছে লাভজনক কৃষি ফসল হিসেবে সূর্যমুখী চাষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
আমতলী উপজেলার পূর্বচিলা গ্রামে আউশ ও আমন ধানের চাষ ছাড়া কৃষকরা কোন অর্থকরী ফসল ফলানোর চিন্তা মাথায় নেয়নি। কৃষকের কাছে বিকল্প কোন চাষযোগ্য ফসলও ছিল না। কয়েক বছর আগে উন্নয়ন সংস্থা ব্রাক তাদের বিকল্প হিসেবে সূর্যমুখী চাষ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। এ সূর্যমুখী চাষের সুবাদে দুই ফসলি জমি তিন ফসলিতে পরিণত হয়েছে।
গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় বরগুনা জেলায় এ মৌসুমে ১৫৩২ হেক্টর জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করেছেন জেলার প্রায় ৩ হাজার কৃষক। এর মধ্যে আমতলী উপজেলাতেই ৭ শ ৩০ হেক্টর চাষের আওতায় এসেছে। কম পরিশ্রম ও কম অর্থ বিনিয়োগ করে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। সূর্যমুখী চাষ কৃষি অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে কৃষক ও কৃষিবিদরা জানিয়েছেন।