বছরের ১২ মাসই ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হয় । তবে বর্ষাকালে এটি বাধ্যতামূলক। কারণ বর্ষার আবহাওয়া ঠান্ডা ও গরম। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এ কারণে জন্ম নেয় ছত্রাক । ফলাফল ত্বক ও চুলের নিষ্প্রাণ হয়ে যাওয়া । তাই এ ঋতুতে ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় প্রয়োজন সচেতনতা।
বর্ষার ভেজা ও আদ্র পরিবেশ ত্বকে ফাঙ্গাশ বা ছত্রাক বেড়ে ওঠার জন্য উপযুক্ত। ফলে চামড়ার চুলকানি হয় এবং এ সমস্যাকে অ্যাথলেট ফুট, জোকস ইচ, রিং ওয়ার্ম বা দাদ বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়।
ফাঙ্গাশ সংক্রমণ রোধে গামবুট, বন্ধ প্লাস্টিকের জুতা পরিধান থেকে বিরত থাকতে হবে। এতে পায়ের আঙুলের ফাঁকে ছত্রাক জন্মাবে না। এ সময় চামড়ার জুতা ও সুতি মোজা পরতে হবে। বৃষ্টিভেজা পথ মাড়িয়ে ঘরে ফেরার পর পা ও স্যান্ডেল ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। বৃষ্টির দিনে অবশ্যই নখ কেটে ছোট রাখতে হবে।
ফাঙ্গাশ ইনফেকশন হলে নখ দিয়ে চুলকাবেন না। এতে ইনফেকশন হওয়ার আশংকা থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শে উপযুক্ত এন্টিফাঙ্গাশ ট্যাবলেট ও ক্রিম নির্দিষ্ট সময়ে খেতে ও লাগাতে হবে। চুলকানির জন্য এন্টিহিস্টাসিন ট্যাবলেট খাওয়া যায়।
মাথার চুল শ্যাম্পু করে শুষ্ক করতে হবে। এতে চুলের গোড়ায় ফাঙ্গাশ হবে না।
তোয়ালে, ব্রাশ, চিরুনি সবকিছু পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। টাইট অন্তর্বাস পরা থেকে বিরত থাকবেন। কাপড় ধুয়ে শুকনো করে পরতে হবে। বর্ষার দিকে ছত্রাক সংক্রমণ প্রায়ই হয়। তাই খুব সচেতন হতে হবে।