রোগে অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে খেতে হয় ওষুধ। কিন্তু স্যাঁতসেঁতে বর্ষায় কিংবা বাতাশে নষ্ট হয় ওষুধ। সেই ওষুধই খাচ্ছেন বা ফেলে দিচ্ছেন। বাড়িতে ওষুধ ভাল রাখার উপায় কী?
ওষুধ সংরক্ষণে মানতে হবে কয়েকটি নিয়ম। তাহলে ওষুধের মেয়াদ পযর্ন্ত মান ঠিক রাখা যাবে ওষুধের।
শুধু আলো, পানি, বাতাস নয়, মানুষের জীবনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ওষুধ। সর্দি, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা নিত্যসঙ্গী। তাই বাড়িতে হাতের কাছেই মজুত রাখতে হয় ওষুধ।
কিন্তু দীর্ঘদিন বাড়িতে পড়ে থেকে ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকেই। বিশেষ করে বর্ষাকালে। ওষুধ নষ্ট, টাকা নষ্ট। কিন্তু এই নষ্টর হাত থেকে বাঁচার উপায় কী? মানুষের বাঁচার ৩টি উপাদান কিন্তু নষ্ট করতে পারে শরীর সুস্থ করার উপাদানকে।
ঠান্ডা এবং শুকনো জায়গায় রাখতে হবে ওষুধ। ড্রেসার ড্রয়ার কিংবা কিচেন ক্যাবিনেটে রাখা যেতে পারে ওষুধ। তবে, আগুন, স্টোভ, সিঙ্ক এবং গরম কোনও সরঞ্জাম থেকে দূরে রাখতে হবে। স্টোরেজ বক্স বা তাকে রাখা যেতে পারে ওষুধ। না হলে এক্সপায়ারি ডেটের আগেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে ওষুধ।
তাপ ও ময়েশ্চারে ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল সহজেই নষ্ট হয়ে যায়। গুঁড়ো হয়ে যেতে পারে ওষুধ। সেই ওষুধ খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। ওষুধের খাপ থেকে ওষুধ খুলে রাখা যাবে না। ওষুধের বোতল থেকে তুলোর বল বের করে নিতে হবে। কারণ, এই তুলো থেকে ময়েশ্চার জন্ম নিতে পারে।
প্লাস্টিকের ব্যাগে ওষুধ রাখা যাবে না। রাখলে ওষুধের প্রভাব কমে যেতে পারে। ইনসুলিন ও লিকুইড অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে বেশি সাবধানতা নেওয়া উচিত। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সাধারণত ৩০দিন পর্যন্ত ঠিক থাকে ইনসুলিন।
একটি পাত্রে অনেক ওষুধ একসঙ্গে না রাখারই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। না হলে এক্সপায়ারি ডেটের আগেই বদলে যেতে পারে ওষুধের রং, গন্ধ। শিশু ও পোষ্যদের নাগাল থেকে দূরে রাখতেই হবে ওষুধ।