দেশব্যাপী তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে, বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। অবশ্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, জ্যৈষ্ঠের মাঝামাঝি এমন গরম আবহাওয়া থাকা অস্বাভাবিক নয়। জুনের শুরুতে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিস্তার ঘটলে স্বস্তি আসবে, বর্ষার আগমন ঘটবে এ সময়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সাতক্ষীরায় ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবার রাজধানীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সার্বিকভাবে কিছু এলাকায় তাপমাত্রা কমছে, পাশাপাশি নতুন এলাকায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপদাহ শনিবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি ও তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে থাকায় গরমের অনুভূতি বেশি হচ্ছে।
কয়েক দিন ধরে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, পাবনা, দিনাজপুরে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার থেকে ফেনী, হাতিয়া, কক্সবাজারেও তা বিস্তার করেছে।
বুধবার বৃষ্টি হয়েছে সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে। রোববারের দিকে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য এলাকায় বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের।
অধিদপ্তর বলছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে, যা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
এ সময়ে সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।